আশ্বিন নয়, কার্তিকের মাঝামাঝি ফের বেজে উঠল ঢাক। নিমেষে ঘর জুড়ে ফের পুজোর গন্ধ।
সেই শারদোৎসবের দিনগুলো থেকে জমিয়ে রাখা উচ্ছ্বাস বাঁধ ভাঙল দীপাবলির দিন কয়েক আগের সন্ধ্যায়। কারণ বৃহস্পতিবারের এ সন্ধ্যা যে শ্রেষ্ঠ পুজোর স্বীকৃতি পাওয়ার। উদ্বেল আনন্দের যে সন্ধ্যার সাক্ষী রইল ভিড়ে ঠাসা বিদ্যামন্দির প্রেক্ষাগৃহ।
প্রথম দফায় ‘পার্লে আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য ১৪১৯ পাওয়ার্ড বাই এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক’-এর পুরস্কারের পালা। একে একে শ্রেষ্ঠ পুজো কলকাতা, শ্রেষ্ঠ পুজো উত্তর কলকাতা এবং শ্রেষ্ঠ পুজো হাওড়ার শিরোপা পেল ত্রিধারা সম্মিলনী, মিতালি কাঁকুড়গাছি এবং ব্যাঁটরা নবীন সঙ্ঘ। |
কনকাস্ট শ্রেষ্ঠ মণ্ডপসজ্জার পুরস্কারে উত্তর কলকাতার শ্রেষ্ঠ মিতালি কাঁকুড়গাছি, দক্ষিণে চেতলা অগ্রণী ক্লাব এবং হাওড়ায় ব্যাঁটরা নবীন সঙ্ঘ ভূষিত হওয়ার পালা এর পরে। বি সি সেন শ্রেষ্ঠ প্রতিমার পুরস্কার নিলেন উত্তরে বেলেঘাটা ৩৩ নম্বর পল্লিবাসীবৃন্দ, দক্ষিণে ত্রিধারা সম্মিলনী এবং হাওড়ায় পাগলা ফৌজের উদ্যোক্তারা। শ্রেষ্ঠ আলোকসজ্জায় একে একে শিরোপা উঠল উত্তরে দমদম পার্ক ভারত চক্র, দক্ষিণে চেতলা অগ্রণী এবং হাওড়ায় কাজীবাগান লেন উন্নয়ন সমিতি অ্যান্ড ডিফেন্স পার্টির মাথায়।
দ্বিতীয় দফায় আসরে হাজির ‘চক্র গ্রুপ আনন্দবাজার পত্রিকা পুজোর সেরা ২০১২’র শিরোপা। চক্র গ্রুপ সেরা পুজো উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা এবং হাওড়ার পুরস্কার নিয়ে গেল হাতিবাগান নবীন পল্লি, অজেয় সংহতি এবং আলাপনী।
পুরস্কার ছিল জেলার পুজোগুলির জন্যও। শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর এবং মেদিনীপুরে চক্র গ্রুপ আনন্দবাজার পত্রিকা পুজোর সেরার শিরোপা পেল সুব্রত সঙ্ঘ, মার্কনি দক্ষিণ পল্লি দুর্গাপুজো এবং অশোকনগর পূজা কমিটি। ছিল শারদ অর্ঘ্যের শ্রেষ্ঠ পুজোর পুরস্কারও। শিলিগুড়ি, মেদিনীপুর-খড়গপুর এবং দুর্গাপুর-আসানসোল যে শিরোপা নিয়ে গেল রথখোলা স্পোর্টিং ক্লাব, প্রেমবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবং ফুলঝর সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি।
শারদ-আনন্দের এ সন্ধ্যায় প্রাপ্তি ছিল আরও। ডক্টর কৃষ্ণেন্দুর হাস্যকৌতুক এবং অনুপম রায়ের গান। এবং মেতে ওঠা গোটা প্রেক্ষাগৃহের। |