মেঘ কাটতেই নামল তাপমাত্রা |
মেঘ কেটে যেতেই ফিরে এল শীত শীত ভাব। শুক্রবার সকালটা শুরু হয়েছিল কুয়াশা দিয়ে। কিন্তু তা কেটে যেতেই বইতে শুরু করল উত্তুরে হাওয়া। মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে গেল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই আবহাওয়াটাই বুঝিয়ে দিল শীত আর দূরে নেই। শীতের পোশাক পরার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল এ দিন থেকেই। ঘূর্ণিঝড় নীলমের জেরে পরিমণ্ডলে মেঘ ঢুকে পড়ায় শীত শীত ভাবটা গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই কেটে গিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে যায় ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীত ভাবটা কেটে গিয়ে কিছুটা অস্বস্তিও ছিল। বুধবার থেকেই নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি দুর্বল হতে শুরু করে। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দেয়, আকাশ এখন পরিষ্কারই থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আপাতত ১৯-২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন তাঁরা। পর পর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তর ভারতে কিন্তু ইতিমধ্যেই শীত এসে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, কালীপুজো তো বটেই, ভাইফোঁটাতেও শীত শীত ভাবটা থাকবে। বঙ্গোপসাগরে আর কোনও নিম্নচাপ অক্ষরেখা কিংবা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না হলে নভেম্বরের শেষে পুরোপুরি শীত পড়ার আগে আবহাওয়া এমনই থাকবে।
|
অবরোধ উঠল ট্যাঙ্কারচালক ও খালাসিদের |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়ের হস্তক্ষেপে তুলে নেওয়া হল মৌড়িগ্রাম ডিপোয় ট্যাঙ্কারচালক এবং খালাসিদের অবরোধ। তেলচুরি রুখতে নয়া ব্যবস্থা চালু করেছিল ইন্ডিয়ান অয়েল। এর পরেই ওই অবরোধ শুরু করেন ট্যাঙ্কারচালক ও খালাসিরা। অবরোধের কারণ হিসেবে অবশ্য তাঁরা বেতনবৃদ্ধি-সহ অন্য দাবির কথা বলেন। অবরোধ তুলে নিয়ে পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের সরবরাহ স্বাভাবিক করতে শুক্রবার অরূপবাবু ইউনিয়ন নেতা এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে চালকেরা জানিয়েছেন। অবরোধ তোলার পরে এ দিন বিকেল থেকেই ডিপোতে ট্যাঙ্কার ঢুকতে থাকে।
|
শিল্পের জমিতে শিল্প না-হওয়া নিয়ে বিতর্ক বাধল সিটু-র রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, বর্ধমান, হুগলির শিল্পাঞ্চলে সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন, এই সমস্ত জেলার শিল্পাঞ্চলে বাম আমলে বেশ কিছু কলকারখানা বন্ধ হয়েছিল। সেই সব জমিতে শিল্প স্থাপন না করে প্রোমোটারির কাজ হয়েছে। ওই প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘শিল্পের জমিতে শিল্প চাই’ বলে সিটু যদি আন্দোলন গড়ে তুলত, তা হলে সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। কিন্তু ‘শিল্পের জমিতে শিল্প চাই’ এটা স্লোগান হিসেবে দেওয়ালে লিখেই দায়িত্ব খালাস করা হয়েছে। হাওড়ায় এই সম্মেলনে শুক্রবার ঠিকা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আলাদা একটি পর্ব রাখা হয়েছিল। সেখানেও প্রতিনিধিদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বামফ্রন্ট আমলে স্থায়ী শ্রমিকের পরিবর্তে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকার যথাযথ ভাবে উদ্যোগী হয়নি। এখন বিরোধী হয়ে ঠিকা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পাল্টা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সিটুকে। এই আত্মসমালোচনার আবহেই সিটু নেতৃত্ব ঠিক করেছেন, তাঁদের সংগঠনের সমস্ত কমিটিতে যথাসম্ভব মহিলা, তফসিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত প্রতিনিধিদের অনুপাত বাড়ানো হবে। সম্মেলনের অবসরে সিটু-র রাজ্য সম্পাদক কালী ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্য থেকে নীচু স্তর পর্যন্ত সমস্ত কমিটির ক্ষেত্রে তাঁরা এই ব্যাপারে একটা নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলবেন। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন ভোটে এই অংশের যে ভোট হারিয়েছে, তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলেই বাম নেতৃত্বের একাংশের ধারণা। |