|
|
|
|
বিশেষ নজর কল্যাণীতে |
ব্যারাকপুরে কালীপুজোয় বিশেষ সহায়তা বুথ পুলিশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও ব্যারাকপুর ও কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
শিল্পাঞ্চলের যে সব এলাকায় বড় পুজো হয় সেই সব জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় সিংহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ব্যারাকপুর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তা বুথ তৈরি করা হচ্ছে। খোদ পুলিশ কমিশনার ও ডিসি ট্র্যাফিক-সহ কমিশনারেটের হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া থাকবে। ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে ঘিঞ্জি মোড়গুলিতে। যানজট এড়াতে বেশ কয়েকটি রাস্তা ওয়ানওয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫০০ অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সিভিল পুলিশও রাখা হচ্ছে রাস্তায়। যে যে এলাকায় বড় পুজো হয় সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্যই পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্পাঞ্চলের যে সব এলাকায় বড় পুজো হয়, সেখানে সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। মহিলা পুলিশও রাখা হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যেই ওঁরা মিশে থাকবেন। কোনও রকম অসুবিধা হলেই সহায়তা পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে আমাদের বুথে হেল্পলাইন নম্বর (৮০১৭০৫৫৭৫৫) দেওয়া থাকছে। কেউ বিপদে পড়লেই ফোন করতে পারেন। থাকছে ফেসবুক আইডি-ও।’’
ইতিমধ্যেই শিল্পাঞ্চলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শব্দবাজি ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। যদিও শিল্পাঞ্চলের পানশালাগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসনের একাংশ। এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন পানশালাগুলির বেশ কয়েকটিতে নাচ-গানও চলে। সেখানে অবাধে দেহ ব্যবসাও হয় বলে অভিযোগ। কালীপুজোর আগে থেকেই সেগুলির উপর নজর রাখা হবে বলে জানান পুলিশ কর্তারা।
অন্য দিকে, কল্যাণী মহকুমাতে মোট কালীপুজোর সংখ্যা প্রায় ১০০। এর মধ্যে কল্যাণী, চাকদহ ও হরিণঘাটায় কয়েকটি বড় পুজো হয়। এখানেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন। বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যেই চাকদহ ও কল্যাণী শিল্পাঞ্চল থেকে কয়েক পেটি শব্দবাজি ধরেছে পুলিশ। কল্যাণী থেকে বৃহস্পতিবারই ধরা পড়েছে ৪০ কেজি শব্দবাজি। এসডিপিও বলেন, ‘‘কালীপুজোর সময় ইভটিজিং ও অপরাধ দমনের জন্য আমরা বিশেষ নজর রাখছি। পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরি করতে বলেছি।’’ |
|
|
|
|
|