টুকরো খবর
মূর্তি উন্মোচন
পুরুলিয়ার সমবায় আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা, প্রয়াত শিশির গুপ্তের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল বাঘমুণ্ডির সুইসা কৃষি সমবায় সমিতি প্রাঙ্গণে। শুক্রবার, শিশিরবাবুর জন্মদিনে তাঁর মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন এই সমবায় সমিতির সম্পাদক হিরাধর কুইরি। তিনি জানান, আদতে ঝালদার মানুষ শিশিরবাবু ১৯৫৮ সালে বাঘমুণ্ডির প্রত্যন্ত এই গ্রামে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের লক্ষ্যে সমবায় সমিতিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর আদর্শে গড়ে ওঠা এই সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা আজ দেড় হাজার ছুঁয়েছে। এ দিন শিশির স্মৃতি সংগ্রহশালারও উদ্বোধন করা হয়। জেলার ভাষা আন্দোলনেও প্রথম সারির নাম শিশির গুপ্ত। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন বিহারের মানভূম জেলার বাংলা ভাষাভাষী এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে (পুরুলিয়া) বাংলায় অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবিতে পুরুলিয়ার পাকবিড়রা থেকে কলকাতা পর্যন্ত যে দীর্ঘ পদযাত্রাতেও অংশ নিয়েছিলেন শিশিরবাবু। এই সংগ্রহশালায় তাঁর বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনের তথ্য ও স্মারক রাখা হবে বলে উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মহেশ্বর কুইরি, স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতো, গবেষক দিলীপ গোস্বামী প্রমুখ। সভায় নেপালবাবু কাজের নিরিখে বছরের সেরা সমবায়কে শিশিরবাবুর নামাঙ্কিত পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

মন্দিরে চুরি
তালা ভেঙে একটি শিব মন্দির থেকে সোনার গহনা-সহ নানা সামগ্রী চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার কুমারডোবা গ্রামের শিব মন্দিরে বৃহস্পতিবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের তা নজরে পড়ে। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ গ্রেফতার বা চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। সিমলাপালের বিক্রমপুর মোড় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, আমলাশুলি যাওয়ার রাস্তায় একটি খালের ধারে এই শিব মন্দিরের অবস্থান। বছর দু’য়েক আগে বিক্রমপুর-সহ আশপাশের ৩০টি গ্রামের মানুষ অর্থ দান করে এই শিব মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা কেশিকোচা গ্রামের বাসিন্দা মানিক পাত্র, কল্ল্যাচা গ্রামের বাসিন্দা সুনীল সিংহ মহাপাত্র দাবি করেন, লোহার গেটের তালা ভেঙে অলঙ্কার, পিতলের বালতি, কাঁসার ঘণ্টা, তামার কাঁসা, পঞ্চপ্রদীপ-সহ সমস্ত দান সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত ভবনের ৯টি তালা ভেঙে ফ্যান, বাল্বসহ বেশকিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে মাড়গ্রামের বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা।

অফিসে ডাকাতি
বন্দুক দিয়ে কর্মীদের মারধর করে রঘুনাথপুর শহরের একটি বেসরকারি বিমা ও সল্পসঞ্চয় সংস্থার অফিসে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে রঘুনাথপুরের ব্লকডাঙা এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ওই অফিসে ঢুকে বন্দুক উঁচিয়ে টাকা দাবি করে। সেই সময় সেখানে কর্মী ও এজেন্ট মিলিয়ে প্রায় ২৫ জন ছিলেন। কিন্তু, ভয়ে কেউ তাদের বাধা দিতে পারেননি। কর্মী ও এজেন্টদের মারধর করে তারা টাকা লুঠ করে পালায়। প্রত্যক্ষদর্শী কিছু বিমা এজেন্টের কথায়, “দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল না। প্রত্যেকে হিন্দিতে কথা বলছিলেন। বন্দুক দিয়ে অনেককে ওরা মারধরও করে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

হামলার অভিযোগ
দুই তৃণমূল নেতা-কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল। বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের দ্বারিকা-গোঁসাইপুর অঞ্চল কমিটির নেতা শেখ নজরুলের দাবি, “আমি দলের কাজে বৃহস্পতিবার রাতে মোটরবাইকে বিষ্ণুপুর আসছিলাম। পিছনে ছিল দলের কর্মী শেখ রজব। বিষ্ণুপুর বাইপাসের ভগৎ সিংহ মোড়ে আমাদের মোটরবাইক থামিয়ে মারধর শুরু করে কিছু দুষ্কৃতী।” স্থানীয় লোকজন তাঁদের বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশের কাছে অভিযোগ হয়েছে।

গ্রেফতার ৫
বিএসএনএলের কেবল কেটে চুরির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল বামড়রা গ্রামের সুভাষ তন্তুবায়, মনোজ মিশ্র, চেলিয়ামার করণ তন্তুবায়, তালট্যাঁড়ের ভীম মুদি ও রঘুনাথপুর শহরের ব্যবসায়ী সজন সারাওগি। বৃহস্পতিবার রাতে ধরা হয়। শুক্রবার তাদের রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ২ জনকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, চেলিয়ামা এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছিল। রঘুনাথপুরের ওই ব্যবসায়ী চোরাই তার কিনতেন। ওদের কাছ থেকে কেবলের ৫০ কেজি তামা উদ্ধার করা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.