থিম যখন ‘ডেঙ্গি’

বেহালা মাতৃসেবক সঙ্ঘ:
এস এন রায় রোডের এই পুজোর মণ্ডপসজ্জায় থাকবে হাজার দু’য়েক কাচের বাটি ও নানা ধরনের রঙিন কাচ। আলোর ব্যবহারে রামধনু তৈরি হবে। প্রতিমা তারাপীঠের দেবীর আদলে।

বিষ্ণুপুর সারদা গার্ডেন (ভাসা): কোনার্কের সূর্যমন্দিরের আদলে মণ্ডপ। পাশে থাকবে চারটি নাটমন্দির। দেবীকে পাঁচটি রূপে পুজো করা হয় বলে পঞ্চকালী বলে খ্যাত। বাঁশ, কাঠ ও থার্মোকলের মণ্ডপ।

আমতলা কন্যানগর কলোনি সঙ্ঘ: কলাগাছের নানা অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। কলাগাছের ছাল ও থোড় শুকনো করে দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হবে।

আমতলা বাজার সমিতি: বাঁশ ও কাঠের বাটাম দিয়ে দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ভিতর ও বাইরে থাকবে টেরাকোটার কাজ। নানা পুতুল দিয়েও মণ্ডপ সাজানো হবে। লাইট-অ্যান্ড-সাউন্ড-এ শ্রীরামকৃষ্ণ ও কালীর নানা কাহিনি তুলে ধরা হবে।
আমতলা নিউ স্টার ক্লাব: রবীন্দ্রসদনের আদলে মণ্ডপ। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য দরিদ্রদের মধ্যে মশারি বিতরণ করা হবে।

বিষ্ণুপুর-দৌলতপুর যুবক সঙ্ঘ: বিদেশ থেকে আনা বাঁশ দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। বাঁশের নানা কারুকার্য। মণ্ডপের ভিতরে চিত্রের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গি প্রতিরোধের প্রচার চালানো হবে। প্রবেশপথের পাশে ফ্লেক্সের মাধ্যমে দেশের নানা বিখ্যাত মন্দিরের ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে।

ঠাকুরপুকুর যুব সম্মেলন: থিম ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সচেতনতার প্রচার। থাকবে নানা ব্যানার, হোর্ডিং ও কাট আউট। মণ্ডপের চার দিকে মাটির মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধের নানা পন্থা।

বাকড়াহাট সবুজ সঙ্ঘ: স্কেচপেন দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ। স্কেচপেন দিয়ে নানা কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হবে। শিশুদের জন্য নানা আকর্ষণীয় ছবি থাকবে।
সাতগাছিয়া ফাইটিং সঙ্ঘ: থিম পাতাল ভৈরবী। মাটি, চট ও রং দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ। মণ্ডপের মাঝে গাছের গুড়ির উপরে প্রতিমা। প্রতিমার রুদ্র রূপ। মণ্ডপের ভিতরে আলো-আঁধারী পরিবেশ তুলে ধরা হবে।

বজবজ ভাই ভাই সঙ্ঘ: ছো-নাচের নানা মুখোশ দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ। পুজোর দিন পুরুলিয়ার ছো-শিল্পীরাও হাজির থাকবেন।

বেহালা ভূপেন রোড বৈশাখী: ‘আলিবাবা ও চল্লিশ চোর’-এর গুহার আদলে বাঁশ, কাঠ ও চট দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। গুহার দু’দিকে পাহাড়। গুহার এক কোণে দেওয়ালে দেবী মূর্তি।

সন্তানবৃন্দ (দক্ষিণ বেহালা সর্বজনীন): ৪৬ বছরের পুরনো পুজোয় দেবীর চামুণ্ডা রূপ। বসবে সাত দিনের মেলা। থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্প, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষদের ঠাকুর দেখানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

গুরু রবিদাস পার্ক নাগরিক উন্নয়ন সমিতি: এ বারের থিম ‘ডেঙ্গি’। অসংখ্য মশারি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। দেবীর হাতে খাঁড়ার বদলে থাকবে বিশাল একটি মশা।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য ও সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.