কে এন সি রেজিমেন্ট: ফাইবার দিয়ে তৈরি হবে ১০ হাজার বর্গফুটের রাজস্থানের মহাবীর জৈন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মূল চূড়ায় থাকবে দু’টি বিশাল সিংহ মূর্তি। মণ্ডপের গায়ে মহাবীরের নানা ছবি। সাতটি আলোর বিশাল গেট পেরিয়ে ঢুকতে হবে মণ্ডপে। দেবীর মূর্তির চারপাশে রামায়ণের দৃশ্য দেখা যাবে। দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

পাইওনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাব: এ বারের থিম, ‘দেবভূমি গাড়োয়াল’। জলাশয়ের পাড়ে ২০ হাজার বর্গফুটের কৃত্রিম পাহাড়ের উপরে উঠলে দেখা মিলবে ত্রিযুগীনারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। প্রচলিত আছে, এখানে শিব-পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এখানে মালা বদল করলে নারী-পুরুষের সম্পর্ক অটুট থাকে। তাই ব্যবস্থা থাকবে বিয়ে, মালাবদলেরও। পাহাড় পেরিয়ে ঢোকা যাবে পঞ্চকেদারে। ৫০ ফুটের বিশাল শিবমূর্তির মাথা থেকে বইবে কৃত্রিম গঙ্গা। মূল মন্দিরে হিমশীতল পরিবেশ, চণ্ডীরূপী দেবী। মাঠ জুড়ে চলবে মেলা।

রেজিমেন্ট: লোহার নেট দিয়ে তৈরি কাল্পনিক মন্দিরে নজর-কাড়া দেবীমূর্তি। পৌরাণিক কাহিনির মডেল থাকবে দেবীর দু’পাশে। রাস্তার দু’পাশের ২৪ ফুট উচ্চতার আলোর নকশা নজর কাড়বে। বস্ত্র বিতরণ হবে।

নবপল্লি সর্বজনীন: কলোনি মোড়ে বিশাল প্রবেশপথ এবং ৭৫০ ফুট লম্বা রাস্তা সাজানো হবে আলো দিয়ে। তাইল্যান্ডের প্যাগোডার আদলে ফাইবার ও কাঠের তৈরি মণ্ডপ। ভিতরে মায়াবী আলো, ছবি এবং ফোয়ারা দেখা যাবে।

সাম্য সঙ্ঘ: এ বারের থিম বিহারের মধুবনী শিল্প। সীতার জন্মভূমি মিথিলায় মহামারীর পরে গ্রামের মহিলারা এই চিত্রকলাকে পাথেয় করে উপার্জনে নামেন। মধুবনী শিল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠবে নারীশক্তির এই সংগ্রামের কাহিনি। দেবীর অসুর বিনাশের নানা রূপ দেখা যাবে।
শতদল সঙ্ঘ: এ বারের থিম বদ্রীনাথ। মণ্ডপে ঢুকলে চোখে পড়বে বিষ্ণুমূর্তি-সহ ১১ দেবদেবীর মূর্তি। সেখানেই পুজিত হবেন কালী। আলোয় সাজবে টাকি রোড।

নবপল্লি ব্যায়াম সমিতি: আলোর গেট আর জলাশয়ের উপরে সেতু পেরিয়ে ঢুকতে হবে মণ্ডপে। প্লাই ও থার্মোকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে হংকং-এর প্যাগোডা। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সোনার গয়নায় সজ্জিত ১৮ হাত লম্বা বিশাল কালীমূর্তি।

সাউথ ভাটরা: পুকুরের মধ্যে পাথরের উপরে তৈরি হবে কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকের আদলে মণ্ডপ। শ্রীরামকৃষ্ণ ও সারদাদেবীর মাঝখানে দেবী। একপাশে থাকবে ১০ ফুটের স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। ক্লাবের সদস্যরা নিজেরাই তৈরি করছেন এই মণ্ডপ।

সন্ধানী: ৭৪ ফুট চওড়া ও ৬০ ফুট উঁচু কাল্পনিক মন্দিরে শিবের দশ রকমের লীলা। দেবীমূর্তির এক পাশে শিব-পার্বতীর বিয়ের মডেল ও দক্ষিণেশ্বরের কালীর আদলে মূর্তি। অন্য দিকে সতীর দেহত্যাগের মডেল ও তারাপীঠের কালীর আদলে মূর্তি।

শক্তিমন্দির: ৫০ ফুট উঁচু ও ৪০ ফুট চওড়া ফোম ও প্লাই দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। কালভৈরবী দেবী।

বিদ্রোহী: রামায়ণ ও মহাভারতের টুকরো টুকরো চিত্র দেখা যাবে ৭৫ ফুট চওড়া ও ৭০ ফুট উঁচু এই মণ্ডপে। বিশাল সিংহাসনে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে থাকবেন দেবী।

বালকবৃন্দ স্পোর্টিং ক্লাব: ৩৬ রকমের শুকনো ফুল, ফল ও গাছের ছাল দিয়ে মণ্ডপ ও প্রতিমা।
ভাটরাপল্লি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন: গ্রাম্য পরিবেশে থাকবে ধানের গোলা এবং মাটির রঙে নানা কারুকার্য। শিবের সঙ্গে লক্ষ্মীরূপী কালী।

তরুছায়া: এই পুজোর থিমে দেখানো হচ্ছে, সমুদ্রমন্থনে ওঠা বিষ পান করে শিব নীলকণ্ঠ হলে কালী তাঁর শরীর থেকে বিষ নিয়ে নিজের দেহে ধারণ করছেন।

আগুয়ান সঙ্ঘ: মণ্ডপ জুড়ে রাজস্থানের মরুভূমি। থাকবে উটের মডেল ও মন্দির। গান-বাজনা ও কলসী মাথায় নাচও চলবে। প্রতিমা মানানসই।

কৈলাসনগর মৈত্রী সঙ্ঘ: কাল্পনিক পাহাড় ও গুহার ভিতর দিয়ে ঢুকতে হবে মণ্ডপে। শূন্যে ভাসমান অসুর ও দেবীপ্রতিমা নজর কাড়বে।

মাইকেলনগর নেতাজি সঙ্ঘ: মধ্যমগ্রামের এই পুজোয় এ বার ফাইবার, প্যারিসের কাজে গুজরাতের সোমনাথ মন্দির দেখা যাবে। আলো-শব্দের খেলায় শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা নজর কাড়বে। আলোকসজ্জায় কার্টুনের চরিত্র। চাঁদার একটি অংশ দেওয়া হবে অ্যাম্বুল্যান্স কেনার জন্য।

পূর্বাশা যুব পরিষদ: এ বারের থিম ‘ছোটা ভীম’। বাজপাখির পেটের ভিতরে ঢুকেই ঘন জঙ্গল। পাহাড়ের গেট দিয়ে ঢোলকপুর গ্রামে ঢুকেই চোখে পড়বে মাটির মডেলে ছোটা ভীমের নানা চরিত্র। সোনার খনির মধ্যে থাকবে মাতৃপ্রতিমা।

রবীন্দ্রপল্লি অ্যাথলেটিক ক্লাব: থাকবে আটটি আলোর গেট। প্লাই, ধানের তুষ দিয়ে মহীশূরের এক মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপে ঢুকলে বিশাল ঝাড়বাতি নজর কাড়বে। প্রতিমার এক পাশে রামায়ণ ও অন্য পাশে মহাভারতের দৃশ্য থাকবে। বিশাল এক গরিলার হুঙ্কার ছোটদের মন কাড়বে।
মেঘদূত শক্তি সঙ্ঘ: উদয়রাজপুরের এই পুজোয় এ বার মহীশূরের জগন্মোহন প্যালেস। ৭০ ফুট উঁচু ও ১০০ ফুট চওড়া মণ্ডপ।

ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাব: রজতজয়ন্তী বর্ষে মধ্যমগ্রাম চৌমাথার সুভাষ ময়দানে এ বার মাউন্ট আবুর জৈন মন্দির। ফাইবার ও প্লাই দিয়ে তৈরি মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলো দর্শক টানবে।

চণ্ডীগড় ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব: আলো ও রঙের মেলবন্ধন তৈরি হবে জাদুনগরী। বিভিন্ন জ্যামিতিক আকারের মধ্যে গিয়ে গোলকধাঁধাঁয় হারিয়ে যাবেন দর্শক। নৌকায় চেপে অসুর নিধন করতে করতে আসবেন দেবী।

সাহারা অধিবাসীবৃন্দ: ঝুড়ি, কুলো, কড়ি, বাঁশ দিয়ে রথের আদলে কাল্পনিক মণ্ডপ। থাকবে মঙ্গলঘট। দেবীমূর্তির পাশে মহীরাবণ বধের দৃশ্য।
এ ছাড়াও বিষয় বৈচিত্রে বারাসতের স্টুডেন্টস গ্রুপ, ইউনাইটেড ক্লাব, ছাত্রদল, বামনমুড়া ইয়ংস্টার অ্যাসোসিয়েশন এবং মধ্যমগ্রামের একত্র সঙ্ঘ, ইয়ং সেন্টার, ইয়ংম্যান অ্যাসোসিয়েশন, আমরা ক’জন, শ্রীনগর ৩ নম্বর অধিবাসীবৃন্দ, বসুনগর যুবকবৃন্দ, দেবীগড় সাংস্কৃতিক সঙ্ঘ, অগ্রদূতের পুজোও দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।

ছবি: সুদীপ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.