তবলায় চাঁটি ফের সেই দু’জনের। রঞ্জি চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ইডেনে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেছিলেন যে দুই, পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও তাঁরা ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাকে টেনে তুললেন। ঋদ্ধিমান সাহা এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ইডেনে সৌরভ সরকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজস্থান ইনিংস সাফ করেছিলেন লক্ষ্মী। পঞ্চনদীর দেশে এ বার কথা বলল লক্ষ্মীর ব্যাট। আর ঋদ্ধি? চলতি রঞ্জিতে তিন ইনিংসে তাঁর তিনটে হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল।
মোহালির সবুজ উইকেট আর মনপ্রীত গোনিদের ‘সিম মুভমেন্ট’দুইকে সামলাতে শুক্রবার একটা সময় ঠকঠকানি উঠে গিয়েছিল বাংলা ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি-সহ পাঁচ উইকেট চলে যায় ১১৮ রানে। স্কোরবোর্ডে ৫০ উঠতে না উঠতে ফিরে যান দুই ওপেনার জয়জিৎ বসু (৭) এবং শুভময় দাস (২৮)। একটু পর গোনির বলে আউট মনোজও (২০)। লক্ষ্মী-ঋদ্ধির জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ব্যাটিং ধস আটকাল ঠিকই, কিন্তু শনিবার টেলএন্ডাররা ঋদ্ধির পাশে দাঁড়াতে না পারলে ৩৫০ ওঠা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। |
১০৫ বলে ৬২ করে লক্ষ্মী আউট হলেও ঋদ্ধি এখনও ক্রিজে (৭৫ নঃআঃ)। পঞ্জাব থেকে ফোনে দেশের অন্যতম সেরা কিপার-ব্যাটসম্যান বলে দিচ্ছেন, স্কোরবোর্ডকে স্বস্তির স্টেশনে পৌঁছেই থামবেন। “শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্বের কথা যদি বলেন, তা হলে তো বলব পাঁচশো টার্গেট। তবে চেষ্টা করব দিন্দাদের হাতে লড়ার মতো একটা স্কোর তুলে দিতে,” বললেন ঋদ্ধি। শনিবার সেঞ্চুরি আসছে? “আমি সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবি না। বলটা দেখি শুধু।” তবে লক্ষ্মীর মনে হচ্ছে, স্কোর সাড়ে তিনশোর আশেপাশে থাকলেও পঞ্জাব ঝামেলায় পড়বে। “আমাদের বোলিং বেশ ভাল। ব্যাটিংয়ে ঋদ্ধির সঙ্গে পার্টনারশিপ যেমন আমার জমে, বোলিংয়ে এখন দিন্দাদের সঙ্গে সেটাই হচ্ছে,” ফোনে বললেন লক্ষ্মী। এই ম্যাচে নামতে পারেননি ইরেশ সাক্সেনা। জ্বর পুরো সারেনি। তাঁর জায়গায় খেলছেন অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দী।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলা ২৮০-৭ (ঋদ্ধি ৭৫ ন:আ:, লক্ষ্মী ৬২, গোনি ২-৩৫)। |