ময়দানের ক্যালেন্ডারে ৯ ডিসেম্বর এক বিরল ঘটনা ঘটতে চলেছে। একই দিনে শহরের দুই প্রান্তে দু’টো ‘বড়’ ম্যাচ। এক দিকে, ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট। ইডেন কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায় যদি মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে ‘টার্নার’ না দেন, ম্যাচ গড়াবে পাঁচ দিনে। অর্থাৎ, ৯ ডিসেম্বরে। আর সেটা হলেই গণ্ডগোল। কারণ, একই দিনে আবার যুবভারতীতে আই লিগে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান।
যা নিয়ে ঠিক এক মাস আগে উত্তপ্ত দুই ক্রীড়া সংস্থা। সিএবি এবং সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সিএবি-র দাবি, বড় ম্যাচের সূচি পাল্টাতে হবে। টেস্ট ম্যাচের গুরুত্ব আলাদা। এআইএফএফের আবার পাল্টা দাবি, কোনও ভাবেই ডার্বি পিছবে না। সিএবি-র দাবি শুনে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস স্পষ্ট বলছেন, “এই মুহূর্তে এ রকম আবেদন এলে কোনও ভাবেই তা মানা সম্ভব নয়।” আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর সঙ্গে আবার যোগ করলেন, “আমাদের সূচি দু’তিন মাস আগে তৈরি হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ পিছনোর জন্য যদি সিএবি-র তরফ থেকে আবেদন আসে, মানা বেশ কঠিন।”
যা শুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সিএবিতে। কর্তারা মোটামুটি ঠিকই করে ফেলেছিলেন, ফেডারেশনের কাছে আবেদন পেশ করা হবে এ ব্যাপারে। কিন্তু ফেডারেশনের আগাম প্রতিক্রিয়া শুনে সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলে দিলেন, “আই লিগের সূচি যদি তিন মাস আগে হয়ে থাকে, তা হলে আইসিসি ছ’মাস আগে টেস্টের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। সেটা এআইএফএফ দেখেনি কেন?” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “টেস্টের সঙ্গে দেশ জড়িয়ে। দরকারে আমরা ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে যাব।”
ফুটবল না ক্রিকেটএই নিয়ে বরাবরই রেষারেষি ময়দানে। যা আরও এক বার বেরিয়ে পড়ল। ফুটবলের বড় ম্যাচ আয়োজন করছে ইস্টবেঙ্গল। আর এই টানাপোড়েন নিয়ে লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের সাফ মন্তব্য, “শহরের দু’প্রান্তে দুটো বড় ম্যাচ হলে নিরাপত্তার সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। ইডেনের দায়িত্বে থাকে কলকাতা পুলিশ। যুবভারতীতে থাকে রাজ্য পুলিশ। আর শহরের দর্শক সমর্থনে ভাগাভাগির তো প্রশ্নই নেই। ক্রিকেট মাঠের লোকেরা তবু ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসে। কিন্তু যারা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দেখতে আসে তারা কেউ ক্রিকেট মাঠে যায় না।” |