ফিফার পাঠানো মেডিক্যাল টেস্টের ফর্ম আই লিগের ক্লাবগুলি পূর্ণ না করলে পরের মরসুমে ফুটবলারদের নথিভুক্তি আটকাতে পারে ফেডারেশন।
ইউরোপ ও আফ্রিকায় খেলতে খেলতে মাঠেই কয়েক জন ফুটবলারের মৃত্যু হয়েছে সম্প্রতি। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরুতে ফেড কাপ খেলতে গিয়ে মাঠেই মারা গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। এর পরে বেঙ্গালুরুতেই বেঙ্কটেশ এবং জলপাইগুড়িতে শিবু থাপা মারা গিয়েছেন। সব দেখে শঙ্কিত ফিফা। তারা ফেডারেশনের মাধ্যমে আই লিগের ১৪টি ক্লাবকেই ফর্ম পাঠিয়েছিল। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল এবং পৈলান অ্যারোজ বাদে কেউই ফুটবলারদের শারীরিক তথ্য সমৃদ্ধ ওই ফর্ম পূর্ণ করে পাঠায়নি।
কলকাতার দলগুলির মধ্যে মোহনবাগান একটি চিঠি দিয়ে বলেছে ওডাফা-টোলগেদের সব পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট পরে পাঠাচ্ছি। আর প্রয়াগ এখন র্যান্টি-কার্লোসদের পরীক্ষা সবে শুরু করেছে। চার্চিল ও সালগাওকর জানিয়েছে, তারা রিপোর্ট পাঠাচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, ওডাফা-র্যান্টি-নবি-দীপকদের রক্ষা করার জন্য ক্লাবগুলি কি তা হলে আগ্রহী নয়? আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “ক্লাবগুলি দল তৈরি করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। অথচ মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচ করে সেই ফুটবলারদের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষাগুলি করছে না। এ বার লিগ শুরু হওয়ার পর ফর্ম পাঠানো হয়েছে। ফলে সময় দিতে হচ্ছে। পরের বার থেকে ফর্ম পূরণ না হলে নথিভুক্তি আটকে দেওয়া হতে পারে।”
ক্লাবগুলি ফর্ম পূরণ করে পাঠালে সেগুলো দেখার দায়িত্বে রয়েছেন কোভারম্যান্সের ভারতীয় দলের ডাক্তার মানব ভট্টাচার্য। মানববাবুর কাছে এখনও কোনও কাগজপত্র যায়নি ক্লাবগুলির। সাইয়ের ডাক্তার মানব বললেন, “মাঠেই খেলার সময় মৃত্যু হচ্ছে ফুটবলারদের। সে জন্য ফিফা এ ব্যাপারে খুব সতর্ক। বিশ্বকাপ-সহ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশ বা ক্লাবকে এটা করতেই হচ্ছে। জাতীয় দলে আমরা করেছি। আই লিগের ক্লাবগুলির নিজেদের স্বার্থেই এটা করা দরকার।”
আই লিগ চলছে। ফলে ফিফার এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বলে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে না ফেডারেশন কর্তারা। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ফুটবলারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ক্লাবগুলি না দিলে শাস্তিস্বরূপ মোটা জরিমানা করতে পারে ফিফা। |