ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তাঁর ‘পাঠ্যপুস্তক’ ইন্টারনেট আর ইউটিউব। সেখান থেকেই র্যান্টি-কার্লোসদের খুঁটিনাটি জেনেছেন তিনি। জেনেছেন প্রতিপক্ষ সিকিম ইউনাইটেড সম্পর্কেও। আর সেইটুকু সম্বল করেই কলকাতার মাটিতে পা দেওয়ার পঁয়ত্রিশ ঘণ্টার মধ্যেই আই লিগের প্রথম পেপারের পরীক্ষায় বসতে চলেছেন প্রয়াগ ইউনাইটেডের নয়া ডাচ কোচ এলকো সাতোরি।
কাকভোরে বিমানবন্দরে নামার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই ন্যাড়া মাথা ওলন্দাজ হাজির হয়ে গিয়েছিলেন সেন্ট্রাল পার্কে তাঁর নতুন দলের অনুশীলনে। আর সেখানেই র্যান্টি-লালকমল-কার্লোস-সুব্রত পালদের দেখার পর এলকো বললেন, “দেখে তো ভালই লাগল। তবে দলটার হঠাৎ সিস্টেম বদলের পক্ষপাতী আমি নই।” |
প্রয়াগকে আই লিগে চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট এনে দেওয়া প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেন দলকে খেলাতেন ৪-৪-২ ছকে। মাঝমাঠে কার্লোসকে রেখে পরিস্থিতি বুঝে র্যান্টিকে জুড়ে দিতেন কখনও ভিনসেন্ট কখনও বা রফিকের সঙ্গে। দীপক-গৌরমাঙ্গীদের নতুন ডাচ কোচ চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। তাই ওই ছকেরই সামান্য অদলবদল করে শনিবার যুবভারতীতে তিনি নামতে চলেছেন ৪-৪-১-১ ছকে। সামনে একা র্যান্টি। তাঁর একটু পিছনে কার্লোস। মাঝমাঠে কার্লোসের জায়গা নেবেন লালকমল। যাঁর বল বাড়ানো মনে ধরেছে একদা জর্জ উইয়াকে কোচিং করানো এলকোর। বাকি দল অপরিবর্তিত।
এ দিন অনুশীলনের পর কার্লোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ শলাপরামর্শ চলে এলকোর। মেসি-জাভিদের বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক পাসিং ফুটবল তাঁর ভীষণ পছন্দ। তাই লং-বলের বদলে ছোট-ছোট পাসেই সিকিম ইউনাইটেডের গোলের দরজা খুলতে ফুটবলারদের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। যে পাহাড়ি দলের সঙ্গে তাঁর পুরনো শহরে ভাইচুং ভুটিয়া আসেননি বলে শোনা যাচ্ছে। লাল কার্ড থাকায় এমনিতেই তিনি এই ম্যাচের বাইরে।
এলকোর আবার সমস্যা একটাই। “অতীতে সব দলেই ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় পেয়েছি। কিন্তু এখানে লিগের মাঝখানে দায়িত্ব পেলাম। পৌঁছনোর পরের দিনই দল নিয়ে একেবারে ম্যাচে নেমে পড়া। তাই চ্যালেঞ্জটা শক্ত।” এলকোর প্রতিদ্বন্দ্বী কোচ আবার অন্য কথা বলছেন। “র্যান্টি-কার্লোস কিংবা এলকোও নয়। লড়াই প্রয়াগের বিরুদ্ধে। আমার ছেলেরা লড়বে,” বলছেন সিকিম ইউনাইটেড কোচ ফিলিপ ডি’রাইডার। |