|
|
|
|
খড়্গপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় পড়ে খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার মহেশপুরের এক কারখানার সামনে। আহত হন সঞ্জু আলি খান নামে এক শ্রমিক। কমবেশি জখম আরও ৩ জন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গোলমালে দলের কেউ জড়িত নন। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “গোলমাল হয়েছিল। নজরদারি চলছে।” আইএনটিটিইউসি’র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ খড়্গপুর শিল্পতালুকে এই প্রথম নয়। কারখানায় কাদের প্রভাব থাকবে, কাদের লোক চাকরি পাবে, এ সব নিয়েই গোলমাল। শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন সকালে মহেশপুরের ওই কারখানার সামনে আচমকাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন। অভিযোগ, একদিকে রয়েছেন পুরপ্রধান জহরলাল পালের অনুগামীরা। অন্য দিকে, প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরীর অনুগামীরা। শহর ছাড়িয়ে খড়্গপুর শিল্পতালুকেও এই গোষ্ঠী বিন্যাস রয়েছে। যদিও আইএনটিটিইউসি’র জেলা নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ‘বিরোধ’ মানতে চান না ওই দুই নেতাও। শুক্রবার সকালে কারখানার সামনে আচমকা গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধে। কেন এই গোলমাল? এক পক্ষের দাবি, কারখানার সামনে তাদের কর্মসূচি ছিল। তা বানচাল করতেই হামলা চলে। অন্য পক্ষ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। একদফা সংঘর্ষের পর দু’পক্ষই জমায়েত করে। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। জেলা তৃণমূলের নেতা শশাঙ্ক পাত্র বলেন, “মহেশপুরে কারখানার সামনে একটা গোলমাল হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, যাঁরা গোলমাল করেছেন বা গোলমালে মদত দিয়েছেন, তাঁদের কেউ আমাদের দলের লোক নন।” কারখানার সামনে কী কোনও কর্মসূচি ছিল? ওই তৃণমূল নেতার জবাব, “একটা কর্মসূচি ছিল বলেই শুনেছি।” এ দিনের ঘটনার জেরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। |
|
|
|
|
|