দীপাবলির সাজ খড়্গপুরে
ণ্ডপে দেখা যাবে বোতামের কারুকাজ। ইন্দায় তারই প্রস্তুতি।
আলোর উৎসবের আর দেরি নেই। জোরকদমে তারই প্রস্তুতি চলছে রেলশহরে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা, সবেতেই বৈচিত্র্য চাইছেন কালীপুজোর উদ্যোক্তারা। কোথাও মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে চার্চের আদলে। কোথাও বা উঠে আসছে রাষ্ট্রপতি ভবন। পাট কাঠি, মাদুর, বোতাম নানা সরঞ্জামে সেজে উটছে মণ্ডপ। প্রতিমা শিল্পীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।
কালীপুজো ও দীপাবলি ঘিরে মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দুই শহরেই উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। তবে রেলশহর খড়্গপুরে সেই উদ্দীপনা একটু বেশিই। এখানে বহু ভাষাভাষি মানুষের বাস। এই ‘মিনি ইন্ডিয়া’য় দীপাবলি তাই আরও রঙিন। তেলুগু সম্প্রদায়ের লোকজন ওই দিন লক্ষ্মীপুজো করেন। বাড়ির চারপাশ নানা রঙের আলোয় সাজানো হয়। পাড়ায় পাড়ায় চলে হইহুল্লোড়। প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি প্রসাদ দেওয়া হয়। শহরে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের কালীপুজো হয়। মণ্ডপে উঠে আসে নানা থিম। দুর্গাপুজোর মতোই ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। ইন্দা, মালঞ্চ থেকে ঝাপেটাপুর আলোর রোশনাইয়ে ভাসে। কোথাও টুনি বাল্বের সাজ, কোথাও ঝলমলে এলইডি।
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
ইন্দার ‘সেভেন স্টার ক্লাব’ ও খড়্গপুর ‘ইউথ কর্নারে’র পুজোর এ বার ৪০ তম বর্ষ। দু’টি ক্লাব মিলিত ভাবে ইন্দা মোড়ের কাছে এই পুজো করে। এ বার বৌদ্ধ ঘরানার মণ্ডপে থাকছে বোতামের কারুকাজ। পুজো কমিটির সদস্য সুনীল মিত্র বলেন, “মণ্ডপের কারুকাজে প্রায় দেড় কুইন্টাল বোতাম ব্যবহৃত হয়েছে। দর্শকদের ভাল লাগলে সেটাই প্রাপ্তি।” পুজো উপলক্ষে এখানে কম্বল বিতরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির-সহ নানা কর্মসূচি থাকছে। নিউ ট্রাফিক এলাকার ‘রোড স্টার’ ক্লাবের পুজো পড়ছে দশম বর্ষে। নেপালের এক মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ। থাকবে মাদুরকাঠির কাজ। পুজো কমিটির তরফে সুজয় দে বলছিলেন, “এই সময়টার জন্যই আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। পুজোর ক’দিন সকলে মিলে খুব আনন্দ করি।” আরেক সদস্য অঞ্জনাভ দাস বলেন, “পুজোর সময় আমরা বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান শিবিরের মতো কর্মসূচিও করি।”
ঝাপেটাপুরের ‘২৭ ইউথ সেন্টার’-এর পুজোর এ বার ১৮তম বর্ষ। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুকরণে। ভেতরে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে দেশের ১৩ জন রাষ্ট্রপতির ছবি থাকবে। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “এলাকার সকলেই সহযোগিতা করেন। মণ্ডপের আশপাশ আলো দিয়ে সাজানো হয়। পুজো ঘিরে এলাকায় অন্য আবহ তৈরি হয়।” খড়্গপুর ‘স্টার ইউনিটে’র মণ্ডপে উঠে আসছে ইংল্যান্ডের বেলস্ চার্চ। শহরের মালঞ্চ এলাকায় এই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো উপলক্ষে রক্তদান শিবির, বস্ত্রদান প্রভৃতি কর্মসূচি থাকছে। থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা খোকন রাউত বলেন, “সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই পুজোর সময় কিছু কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।” ইন্দার মহামায়া ক্লাবের পুজোর এ বার ৩৮ তম বর্ষ। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে উত্তর ভারতের মন্দিরের আদলে। সেখানে থাকবে পাটকাঠির কাজ। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার সকলে আসেন। আনন্দ করেন। এটাই ভাল লাগে। পুজোর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.