সর্বমঙ্গলা কালীমন্দির:
শিবপুরের ওঙ্কারমল জেটিয়া রোডের এই মন্দির কালীকুমার দাস ঘোষ নামে এক স্বর্ণব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেন। কষ্টিপাথরের দেবী মূর্তি। তন্ত্রমতে পুজো হয়। বলি হয় না। কালীপুজোর দিন দেবীকে আমভোগ দিতে হয়। এ ছাড়া খিচুড়ি, পোলাও, ন’রকমের ভাজা, চার রকমের তরকারি, চাটনি, পায়েস, মালপোয়া ভোগে দেওয়া হয়।
দশমহাবিদ্যা মন্দির
জানবাড়ির কালীমন্দির: দক্ষিণা কালীমূর্তি। পাঁচ ফুট উচ্চতার সিমেন্টের মূর্তি। পুজোর দিন দেবীকে সকালে সাদা সন্দেশ, সাদা মুড়কি ও পায়েস দিয়ে বাল্যভোগ দেওয়া হয়। পাঁঠাবলি হয়। খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, লুচি, আলুর দম, পোলাও, মালপোয়া ও নারকেল নাড়ু-সহ দেবীকে ৬২ রকমের ভোগ দেওয়া হয়।

দশমহাবিদ্যা মন্দির: শিবপুরের ভূতনাথ হালদার লেনের এই মন্দিরে কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গিনী ও কমলা এই দশ রূপে দেবীর পুজো করা হয়। শিবপুর বিজয়ী সঙ্ঘ পরিচালিত এই পুজো হয় তন্ত্রমতে। কালীপুজোর দিন থেকে দশ দিন দশমহাবিদ্যার পুজো হয়। এক মাস পরে বলিদান হয়। অন্যতম আকর্ষণ অন্নকূট উৎসব।

জানবাড়ির কালীমন্দির

ফলহারিণী কালীমন্দির
ফলহারিণী কালীমন্দির: রামরাজাতলার ফলহারিণী কালীমন্দিরের দেবীর মূর্তি কষ্টিপাথরের। পাশে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। পঞ্চমুণ্ডির আসনে দেবী অধিষ্ঠিত। তন্ত্রমতে পুজো হয়। বলি হয় না। দেবীকে নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়।

করুণাময়ী কালীমন্দির: বাজে শিবপুর রোডের করুণাময়ী কালীমন্দিরে দেবীর কষ্টিপাথরের মূর্তি। আগে পাঁঠাবলি হলেও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কালীপুজোয় খিচুড়ি, ভাজা, পোস্ত বড়া, ভাত, পায়েস ভোগ দেওয়া হয়।

জহুরা কালীমন্দির: শিবপুরের অপ্রকাশ মুখোপাধ্যায় লেনের এই মন্দিরের সিমেন্টের দেবী মূর্তি। দেবীর তিনটি মুখ। পুজোতে মানকচু ভোগ ও ল্যাটা মাছ বলি দেওয়া হয়।

সর্বমঙ্গলা কালীমন্দির

করুণাময়ী কালীমন্দির
ছিন্নমস্তা কালীমন্দির: মধ্য হাওড়ার যোগমায়া সিনেমাহলের কাছে দেবী ছিন্নমস্তা রূপে পুজিত হন। এই পুজোর বয়স ৬০ বছর অতিক্রান্ত। সুসেন হরি নামে এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালী প্রতিষ্ঠা করেন।

বালটিকুরি কালীমন্দির: হাওড়া-আমতা রোডের পাশে বালটিকুরিতে এই মন্দিরের কষ্টিপাথরের দেবীমূর্তি। তন্ত্রমতে পুজো হয়। বলি হয়। অন্যতম আকর্ষণ অন্নকূট উৎসব।

মুক্তকেশী কালীমন্দির: সালকিয়ার জেলিয়াপাড়া থার্ড বাই লেনের এই পুজো ধীবর সম্প্রদায়ের পুজো বলে খ্যাত। সালিখা ধীবর সমিতি এই পুজোর উদ্যোক্তা। ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা মন্দিরে এসে চাঁদা দিয়ে যান। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন থেকে মন্দিরে মজলিস বসে। ময়ূরকণ্ঠী রঙের মুক্তকেশী কালীপ্রতিমার উচ্চতা চার ফুট। পুজোর সব জোগাড় করেন পুরুষেরা। মহিলারা শুধু বরণডালা সাজান। ২২ কিলো চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয়। পাঁঠা, মেষ, আম, ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। দেবীকে ক্ষীরের তৈরি মুণ্ডি নামক সন্দেশ ভোগ দেওয়া হয়, ধুনো পোড়ানো হয় এবং ধুলোট হয়।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.