খেলা
লক্ষ্য জাতীয় খেতাব
বারও খেতাব ধরে রাখলেন অনির্বাণ নন্দী। পূর্ব কলকাতার শৌভিক করকে হারিয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রাজ্য প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জিতলেন তিনি।
টেবল টেনিসে তিনি পরিচিত মুখ। হাতেখড়ি নয় বছর বয়সে মধ্য বৃন্দাবন যুবক বৃন্দ ক্লাবে। পরের বছর থেকেই হাওড়া অন্নপূর্ণা ব্যায়াম সমিতি ও নারকেলডাঙা সাধারণ সমিতিতে কোচ জয়ন্ত পুশিলালের কাছে প্রশিক্ষণ শুরু। ওই বছরই শিলিগুড়িতে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯৯-এ জাতীয় টেবল টেনিসে বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব ১৭ দলগত বিভাগে সোনা জয়ের আগে জাতীয় স্কুল টেবল টেনিসেও সাফল্য পান অনির্বাণ।
সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে ২০০০-এ বাংলাদেশ সফর। কদমতলার অনির্বাণ বলছিলেন, “ওই বছর ঢাকা ওয়ারি ক্লাবের শতবর্ষ উপলক্ষে এক টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের হয়ে বাংলা থেকে আমি, জয়ন্ত চন্দ ও শুভম চৌধুরী খেলতে গিয়েছিলেন। দলগত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে সিঙ্গলসে জিতি।” ২০০১-এ দক্ষিণ পূর্ব রেলে চাকরি পান অনির্বাণ।
বাংলা ও রেল দলের হয়ে একাধিক দলগত খেতাব জিতে ২০০৪-এ শরথ কমল, সৌম্যদীপ রায়, শুভজিৎ সাহা, সৌরভ চক্রবর্তীদের সঙ্গে ভারতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পান। অনিবার্ণের কথায়: “২০০০-এ কলকাতার সাইতে কোরিয়ান কোচের কাছে অনুশীলন করে অনেক কিছু শিখেছিলাম। পরে ২০০৪-এ প্রথম বার পাতিয়ালায় ভারতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়ে ফরাসি কোচের কাছে আন্তর্জাতিক মানের টেবল টেনিস চর্চার সুযোগ পাই।”
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ভারতীয় দলের হয়ে দু’টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, দু’টি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ, রেল দলের হয়ে বিশ্ব রেলওয়েজ টেবল টেনিসের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা খেলে ফেলা ২৯ বছরের অনির্বাণ কিন্তু এখনও সিঙ্গলসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। অরূপ বসাকের এই ভক্ত ২০০৬-এ বিশ্ব রেলওয়েজ টিটিতে দলগত রুপোর সঙ্গে বাংলারই সৌরভ চক্রবর্তীকে সঙ্গী করে ডাবলসে জিতেছিলেন সোনা। ওই বছরই অজমেঢ় ন্যাশনালে সিঙ্গলসে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ২০০৯-এ বাংলার হয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় ডাবলসে সোনা আছে তাঁর। গত বছর রাঁচিতে ন্যাশনাল গেমসে সৌরভকে নিয়েই জিতেছেন সোনা। তবু জাতীয় খেতাব তাঁর কাছে আজও অধরা।
এক সময় জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বর জায়গায় উঠে আসা অনির্বাণ আক্ষেপ করে বললেন, “জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে তিন বার শরথ কমলের কাছে হেরেই লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছি। আগামী জানুয়ারিতে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে জাতীয় প্রতিযোগিতা। তাঁর আগে বোলপুরে পূর্বাঞ্চল ও দিল্লিতে হবে উত্তরাঞ্চল টেবিল টেনিস। রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপকে পাখির চোখ করে এগতে চাই।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.