|
|
|
|
হিংসার রাজনীতিতে রক্তাক্ত হুগলি জেলার দুই প্রান্ত |
হরিপালে মারধরে জখম তৃণমূলের
নেতা-কর্মী, নালিশ সিপিএমের বিরুদ্ধে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
সিপিএমের লোকজনের হাতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রহৃত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। আহত অন্তত ৪ জন। চার সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের পশ্চিম গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের ন’পাড়া গ্রামে।
এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে গোলমাল হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একটি রাজনৈতিক দলের ৪ জনকে ধরা হয়েছে।” |
|
ছবি: দীপঙ্কর দে। |
আগামী রবিবার হরিপালে সিপিএমের কৃষক সভার সম্মেলন। বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএমের লোকজন ন’পাড়া গ্রামে পোস্টার এবং ফেস্টুন লাগান। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের ছেলেরাও পাল্টা পোস্টার-ফেস্টুন লাগাচ্ছিলেন। সে সময়ে প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। বচসা ক্রমে মারামারিতে গড়ায়। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি অলোকনাথ দে এবং বিকাশ কাওরা নামে এক দলীয় কর্মীর মাথা ফাটে। আরও কয়েক জন আহত হন। খবর পেয়ে হরিপাল থানার ওসি বঙ্কিম বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বিকাশ এবং অলোকনাথবাবুকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অলোকনাথবাবুর অভিযোগ, “সিপিএমের ৫০-৬০ জন লোক টাঙ্গি, বল্লম, তির-ধনুক নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার আর বিকাশের মাথায় বাঁশের ঘা মারে।”
এ ব্যাপারে হরিপালের তৃণমূল নেতা তুষার সিংহরায় বলেন, “ওই এলাকায় সিপিএম এক সময়ে মানুষের উপরে প্রচুর অত্যাচার করেছে। কিন্তু এখন তো ওদের অস্তিত্বই নেই ওখানে। তাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বহিরাগতদের এনে এলাকা দখল করতে চাইছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পশ্চিম গোপীনাথপুর শাখা কমিটির সম্পাদক শঙ্কর সরকারের পাল্টা অভিযোগ, “ওরাই আমাদের পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেয়। গ্রামের মহিলারা প্রথমে প্রতিবাদ করেন। তারপরে আমরাও যাই। তখন ওরা আমাদের উপর বাঁশ-টাঙ্গি, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। অথচ, আমাদের দলের নিরীহ সমর্থকদের তৃণমূলের কথামতো পুলিশ গ্রেফতার করল। ওঁরা নির্দোষ।” |
|
|
|
|
|