|
|
|
|
অস্বস্তিতে কেন্দ্র |
আবার সরব কেজরিওয়াল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ফের অভিযোগ করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ বার তাঁর বিষয় কালো টাকা। বিদেশি ব্যাঙ্কে কাদের কালো টাকা আছে তা জানা সত্ত্বেও ইউপিএ সরকার কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। কালো টাকার মালিকদের তালিকায় দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি থেকে সাংসদ-সকলেই রয়েছেন বলে দাবি কেজরিওয়ালের।
কেজরিওয়ালের বক্তব্য, অম্বানী পরিবার, বিড়লা, নরেশ গোয়েলের মতো শিল্পপতির কালো টাকা রয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের ব্যাঙ্কে। রয়েছে কংগ্রেস সাংসদ অনু টন্ডনের টাকাও। তাঁর আরও দাবি, হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে দেশে বেআইনি অর্থের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে বিদেশি ব্যাঙ্ক। সরকারের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও শুধু চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী থাকার সময় প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বড় শিল্পপতিদের আড়াল করেছেন। বিদেশি ব্যাঙ্ককে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা আনার সুযোগ করে দিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেও পরোক্ষে মদত দিচ্ছে মনমোহন সিংহ সরকার।
এর আগে অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকারের দাক্ষিণ্যে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স সংস্থা প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জাতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করতে চাইছে। বামেদের পাশাপাশি বিজেপিও এখন এই অভিযোগ নিয়ে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে আজ কেজরিওয়াল বলেছেন, বিদেশি ব্যাঙ্কে রাখা কালো টাকার খবর দিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতাই।
কেজরিওয়ালের আক্রমণে ভর করে কংগ্রেসকে বিঁধবার সুযোগও হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র রাজীব প্রতাপ রুডির বক্তব্য, মনমোহন সিংহ দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার একশো দিনের মধ্যে কালো টাকা উদ্ধারের পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা তিনি রক্ষা করতে পারেননি। সংসদেও প্রকৃত তথ্য দেননি।
কংগ্রেস ও সরকার আজ অবশ্য কেজরিওয়ালের অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। রিলায়্যান্স ও অন্যান্য সংস্থার তরফে আজ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সাংসদ অনু টন্ডনও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন। |
|
|
|
|
|