|
|
|
|
প্রাক্-নির্বাচনী প্রস্তুতি মেঘালয়ে, সামিল তৃণমূলও
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রাক নির্বাচনী জোট গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী পূর্ণ সাংমা। তবে প্রাক্তন সঙ্গী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মেঘালয় নির্বাচনে প্রাক্-নির্বাচনী জোট গড়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। নতুন দল গড়ার পরে এ বার মেয়ে আগাথাকে পুরোপুরি পাশে পাচ্ছেন পূর্ণ। যোগাযোগ করছেন এইচএসপিডিপি, ইউডিপি দলের সঙ্গেও। পাশাপাশি, দু’দিনের সফর শেষ করার পরে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও মেঘালয়ের নাড়ি বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালালেও জোট বা প্রার্থী নিয়ে তারা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
রাজ্য এক হলেও, মেঘালয়ের রাজনীতি ও সমাজ, খাসি ও গারো পাহাড়ে দ্বিধাবিভক্ত। শিলং রাজধানী হলেও, মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা এবং তাঁর হেভিওয়েট চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পূর্ণ অ্যাজটেক সাংমা দু’জনই গারো পাহাড়ের মানুষ। তাই এবারের নির্বাচনে তুরার ভারই বেশি। সে ক্ষেত্রে শিলং সফর সেরে ফেরার পথেই তৃণমূল নেতারা গারো পাহাড়ের পরবর্তী সফরসূচী তৈরি করতে শুরু করেছে। তবে পূর্ণ সাংমার সঙ্গে তাদের নির্বাচনী রসায়ন কী হবে তা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব গারো পাহাড় সফরের পরেই সিদ্ধান্ত নেবে।
পূর্ণ সাংমা এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। সেই সময়েই তৈরি হয় ‘অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’। সে বার মমতার দল সংসদে দু’টি আসন পায়। একটি দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে স্বয়ং মমতা। অন্যটি, তুরায়, পূর্ণ সাংমা। তাও আবার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে হারিয়ে। তবে মমতার সঙ্গে পূর্ণর সম্পর্ক বেশিদিন টেঁকেনি। তিনি ২০০৬ সালে তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়েন। সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে ফের এনসিপির ছাতার তলায় এসে এনসিপির টিকিটে লড়েন পূর্ণ। ফের মুকুলকে হারান। কার্যত, গারো পাহাড়ে পূর্ণ-পরিবারের প্রভাব কিংবদন্তীর পর্যায়ে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জীবনে প্রথমবার হারেন পূর্ণ। তবে ভাঙলেও মচকাননি। উল্টে এনসিপি তাঁর বিরোধিতা করায় রাজ্য এনসিপিকেই বিকলাঙ্গ করে দিয়ে ১২ জন এনসিপি বিধায়ককে নিয়ে এনপিপি দল গড়েন। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসী বিধায়কের সংখ্যা ২৫। এনসিপির ১৪ জন বিধায়ক ছিল। এখন এনপিপিই প্রধান বিরোধী দল। ১১ জন বিধায়ক ইউডিপির। ইউডিপিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পূর্ণকে সমর্থন জানায়। আসন্ন নির্বাচনে ইউডিপি, এইচএসপিডিপি, খানামকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা তো করবেনই পূর্ণ। তৃণমূলের সঙ্গ পেলে সেই হাত আরও শক্ত হয়। দলীয় সূত্রে খবর, এনপিপি ইতিমধ্যেই গারো পাহাড়ে ২৪টির মধ্যে ২১টি আসনে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। পূর্ণ ঘোষণা করে দিয়েছেন, আগাথা এনসিপি না ছাড়লেও এনপিপির হয়ে প্রচার চালাবেন। তবে উপ-নির্বাচন এড়াতে এনসিপি সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন না।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রাক্-নির্বাচনী জোটে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা সৌরভ চক্রবর্তী। গত কাল রাত ১২টা অবধি শিলং-এর পাইনউড হোটেলে তৃণমূলের বৈঠক চলে। হাজির ছিলেন বর্তমান ও প্রাক্তন বেশ কিছু বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রীও। |
|
|
|
|
|