|
|
|
|
বিশ্বব্যাঙ্কে পাড়ি কলকাতার তিন ছাত্রের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাঙ্ক। তবে ভায়া কলকাতা!
শিক্ষানবিশির (ইন্টার্নশিপ) সুযোগ পেয়ে বিশ্বব্যাঙ্কে পাড়ি দিচ্ছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-কলকাতার তিন ছাত্র। যদিও কেউই কলকাতা বা এ রাজ্যের বাসিন্দা নন। দু’জনের বাড়ি মহারাষ্ট্র, আর এক ছাত্র মধ্যপ্রদেশের। এই প্রথম আইআইএমের কোনও পড়ুয়া বিশ্বব্যাঙ্কে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেলেন, দাবি আইআইএম-কলকাতার।
গত ৫ নভেম্বর থেকে আইআইএম-কলকাতার প্রথম বর্ষের ৪৬২ জন ছাত্রছাত্রীর গ্রীষ্মকালীন নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষানবিশির সুযোগ পান। প্রথম দিনেই ওই তিন ছাত্রকে বেছে নিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তাঁরা সেখানকার কোষাগার এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার কাজ দেখভাল করবেন।
কলকাতা বা রাজ্যের কেউ এই সুযোগ পেলেন না কেন? আইআইএমের এক শিক্ষকের বক্তব্য, “আইআইএম দেশের প্রথম সারির শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। সেখানকার পঠনপাঠন বা শিক্ষক-ছাত্রদের কোনও অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখার মানেই হয় না।” |
|
|
|
ঋষভ জিরোয়া |
রোহিত মূর্তি |
জয়ন্ত খারোটে |
|
যে তিন ছাত্র বিশ্বব্যাঙ্কে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা হলেন নাসিকের জয়ন্ত খারোটে, মুম্বইয়ের ঋষভ জিরোয়া এবং ভোপালের রোহিত মূর্তি। পেশায় কেউ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। পছন্দও আলাদা আলাদা। কেউ ভালবাসেন ছবি আঁকতে, কেউ আবার গান গাইতে, কেউ ভালবাসেন নাটক। বিশ্বব্যাঙ্কে ইন্টার্নশিপের সুযোগ তাঁদের স্বপ্নপূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলে আশা করছেন জয়ন্তরা।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জয়ন্ত হিন্দুস্থান পেট্রোয়িলামে আট মাস কাজ করেছেন। এখন তিনি আইআইএম কলকাতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট (পিজিডিএম)-এর প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি বলেন, “ছবি আঁকতে ভাল লাগে। নাটক করতেও পছন্দ করি।” দ্বিতীয় বর্ষে ‘ফিনান্স’ নিয়ে স্পেশ্যালাইজেশন করার ইচ্ছে তাঁর।
রোহিত ইঞ্জিনিয়ার। মর্গান-স্ট্যানলিতে চার বছর চাকরির অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। তিনিও পিজিডিএম প্রথম বর্ষের ছাত্র। রোহিত গান গাইতে ভালবাসেন। তিনিও দ্বিতীয় বর্ষে ফিনান্স-এ স্পেশ্যালাইজেশন করতে চান। ওই ছাত্রের কথায়, “যাঁদের ফিনান্সে চাকরির আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কে কাজ করার থেকে ভাল সুযোগ আর কী-ই বা থাকতে পারে!”
ঋষভ অবশ্য চাকরির জগতে নবাগত। তিনি মুম্বইয়ের মিঠিবাই কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে স্নাতক করেই ভর্তি হয়েছিলেন আইআইএম-কলকাতায়। গানের প্রতি টান আছে ঋষভেরও। তাঁরও ফিনান্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। ঋষভের কথায়, “বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের জানাই যে আমার ইনভেস্টমেন্ট ও ম্যানেজমেন্টে আগ্রহ রয়েছে।
ওঁরা জানান, ইন্টার্নশিপে ব্যাঙ্কের ট্রেজারি শাখায় আমার পছন্দের বিষয়েই কাজের সুযোগ পাব। হাতেকলমে কাজের এমন ভাল সুযোগ কমই আছে!”
আগামী বছর এপ্রিলে দু’মাসের ইন্টার্নশিপ শুরু হবে ওই তিন ছাত্রের। যদিও দেশে না বিদেশে, কোথায় কাজ করবেন, সেটা এখনও জানা নেই তাঁদের। বিশ্বব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ওয়াশিংটন ডিসি-তে বিশ্বব্যাঙ্কের শাখায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। এই তিন জনের ক্ষেত্রেও তা-ই হবে কি না, সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয়। |
|
|
|
|
|