|
|
|
|
নানা দাবি, মাড়গ্রামে ফের অনশনে নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
এলাকার নানা দাবি নিয়ে ব্লক অফিসের সামনে মাচা বেঁধে ফের অনশন শুরু করেছেন রামপুরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা জাকির হোসেন। কংগ্রেস ছেড়ে আসা জাকির হোসেন বছর দু’য়েক আগেও একই দাবিতে বেশ কিছুদিন অনশন চালিয়েছিলেন। সে বার প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস পেয়ে অনশন তুলে নেন।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হলেও এ বারের অনশনে প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত তেমন সাড়া পাননি জাকিরবাবু। আগের অনশনে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশকে পাশে পেলেও এ বারে অল্প কিছু সমর্থক ছাড়া তেমন ভাবে পাশে পাননি কাউকেই। মাড়গ্রামের নেতার সমর্থনে গত বৃহস্পতিবার সকালেই এলাকার কয়েকজন রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাস্তায়, মাড়গ্রাম থানা মোড়ে ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধও করেন। জাকির হোসেনের কথায়, “এলাকার সমস্যাগুলি দীর্ঘদিনের। বহুবার এ নিয়ে আন্দোলন হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ফের অনশন শুরু করেছি।” তাঁর দাবিগুলির মধ্যে যেমন আছে, ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সহযোগী অফিসগুলিকে (আইসিডিএস অফিস, সেরিকালচার এক্সটেনশন অফিস, ব্লক এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অফিস প্রভৃতি) কাজের ও এলাকার মানুষের প্রয়োজনে মাড়গ্রামেই স্থানান্তরিত করা, তেমনই আছে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে রূপান্তরিত করার দাবিও। এ ছাড়া এলাকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু (গোপালপুরে ভাঙলা সেতু, দেবগ্রামে সাইল মাইল রোডে ব্রাহ্মণী নদীর উপর সেতু ও তারাপীঠে যাওয়ার জন্য মাড়গ্রামের কাছে দ্বারকা নদীর উপর সেতু) নির্মাণের দাবিগুলিকে তিনি সামনে রেখেছেন।
গত দশদিন ধরে অনশন চলাকালীন রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় জাকির হোসেনকে অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসার ডাক দেন। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়ের দাবি, “আমি বিডিওকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। শনিবারই কিছু একটা ব্যবস্থা নেব।” যদিও প্রশাসনের এই আশ্বাসে এ বারের আন্দোলন থেকে সরে আসতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। |
|
|
|
|
|