|
|
|
|
গুলি চালিয়েছে পুলিশ, লোবায় দাবি প্রদীপের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি ও দুবরাজপুর |
লোবার ঘটনায় পুলিশ গুলি চালিয়েছিল এবং রাজ্যের এক মন্ত্রীর নির্দেশেই সেই গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি করলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। লোবার ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালেই কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে বীরভূমে এলেন প্রদীপবাবু। ছিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানও। এ দিন তাঁরা সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি গিয়েছিলেন লোবাতেও।
সিউড়িতে প্রদীপবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। পার্থবাবুও মিথ্যা কথা বলছেন।” এ দিনও প্রদীপবাবু ঘটনার সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন। পরে দুপুরের দিকে লোবায় পৌঁছে প্রদীপবাবুরা দেখা করেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। তাঁদের ও কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে কথাও বলেন। পরে কংগ্রেসের তরফে লোবায় ধর্নামঞ্চের সামনেই একটি সভা করা হয়। |
|
লোবায় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
সভায় প্রদীপবাবু ফের বলেন, “লোবায় পুলিশ গুলি চালালেও রাজ্য সরকার কেন তা আড়াল করার চেষ্টা করছে তা বুঝতে পারছি না।” সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রামবাসীদের জখম হওয়ার কারণ চাপা রাখতে রাজ্য সরকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ তৈরি করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। অন্য দিকে, আব্দুল মান্নান বলেন, “বাম আমলে মমতা যে কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন। সরকার বদলালেও পুলিশ তো আর বদলায়নি! এখন তাহলে তিনি কী করে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সেই পুরনো পুলিশের উপরেই ভরসা করছেন?” সমাধান সূত্রে না মেলা পর্যন্ত গ্রামবাসীদের আন্দোলনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস।
ঘটনার পর দিন থেকেই দুবরাজপুরের লোবা গ্রামে সিপিএম,। কংগ্রেস, বিজেপির একাধিক নেতা পৌঁছেছেন। গ্রামবাসীদের জমি আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। এ দিকে, তৃণমূলের কোনও নেতা লোবায় না আসায় এলাকায় কিন্তু চাপা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরের দিনই শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিউড়ি এলেও লোবায় যাননি। এ দিনই অবশ্য কলকাতায় কৃষিজমি রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে রাজ্য সরকার। |
|
|
|
|
|