এটিএম কাউন্টারে গ্রাহককে প্রতারণা করে টাকা হাতানোর অভিযোগে এক যুবকেক গ্রেফতার করল পুলিশ। দুর্গাপুরে সিটিসেন্টারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমের সামনে থেকে এ দিন তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুজয় দাস। বাড়ি কাঁকসা থানার প্রয়াগপুরে। একই অভিযোগে এই যুবককে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১৯ অক্টোবর সিটি সেন্টারের এডিডিএ ভবনের নীচের তলায় ওই এটিএমে টাকা তুলতে যান দুর্গাপুর পুরসভার কর্মী দিলীপ ঘটক। কাউন্টারের বাইরে থাকা এক যুবক ভিতরে ঢুকে তাঁকে সাহায্য করতে চান। দিলীপবাবু রাজি হলে সে এটিএম কার্ডটি ব্যবহার করে জানায়, আমানতে তোলার মতো যথেষ্ট টাকা নেই। দিলীপবাবু তা বিশ্বাস করে এটিএম কাউন্টার ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পরে তাঁর মোবাইলে এসএমএস আসে, তাঁর আমানত থেকে আঠারো হাজার সাতশো টাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। শুক্রবার ফের দিলীপবাবু ওই এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন, বাইরে ওই যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করে লোক জড়ো করেন। সবাই মিলে তাকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক জানিয়েছে, এর আগেও সে এ ভাবে অন্যের টাকা হাতিয়েছে। কাঁকসা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার নানা এটিএম থেকে অন্যের টাকা হাতানোর মোট সাতটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ভাবে সে প্রায় এক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। সপ্তাহখানেক আগে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে সে দুর্গাপুরের ওই এটিএম থেকে টাকা হাতাতে শুরু করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর সিটি সেন্টারের ননকোম্পানি এলাকার বাসিন্দা অজয়কুমার রায় ওই এটিএম কাউন্টার থেকে ১০ হাজার টাকা তোলেন। পরে তাঁর মোবাইলে আরও তিন বার ১০ হাজার টাকা করে তোলা হয়েছে বলে এসএমএস আসে। সে দিনই সগড়ভাঙার বাসিন্দা অমল মাজি ওই এটিএম কাউন্টার থেকে ৩ হাজার টাকা তোলেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁর মোবাইলে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে এসএমএস আসে। শুক্রবার সুজয় ধরার পড়ে পুলিশ অজয়বাবু ও অমলবাবুকে থানায় ডেকে পাঠায়। তাঁরা দু’জনেই পুলিশকে জানান, সে দিন ওই যুবককে তাঁরাও এটিএম কাউন্টারের বাইরে দেখেছিলেন। এর আগে ৮ অগস্ট দুর্গাপুর স্টেশনের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে স্মরণজিৎ সিংহ নামে এক সিআরপিএফ জওয়ানের ১৯ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাতেও এই যুবক জড়িত কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। |