প্রতিবেশী এক তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের পাশাপাশি তরুণীও থানায় নিজেকে সাবালিকা বলে দাবি করে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মালদহের চাঁচলের চন্দ্রপাড়ার ঘটনা। এক সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে রবিবার গ্রামে ফিরে আসে ওই তরুণ-তরুণী। এর পরে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে সোমবার বিকালে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তরুণীর সাবালক হওয়ার প্রমাণ না মেলায় তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে যুবককে গ্রেফতার করে। তরুণী ওই যুবককে ভালবেসে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে বাড়ি ফিরতে রাজি হয়নি। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “প্রাপ্তবয়স্কের প্রমাণ না মেলায় মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করেছে। মেয়েটি বাড়ি ফিরতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রপাড়া এলাকায় একটি দোকান রয়েছে উজিতপুরের বাসিন্দা ধৃত ওই যুবকের। ওই এলাকাতেই বাড়ি তরুণীর। গত বছর সে স্থানীয় একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেনি। দুই জনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল। মাস দুয়েক আগেও ওই তরুণী যুবকের বাড়িতে চলে যায়। সেই বার পরিবারের লোকজন বোঝানোর পর সে বাড়ি ফিরে যায়। নবমীর দিন ফের দুই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিয়ে করে বাড়ি ফিরে আসতেই তাঁদের গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ হুমকি দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই তরুণী বলেন, “আমার জন্ম ’৯৪ সালে। আমি সাবালিকা। স্বেচ্ছায় ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করি। আমি আর বাড়ি ফিরতে চাই না। আমার বয়সের আসল প্রমাণপত্র বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।” ধৃত যুবকের বাবা এই দিন বলেন, “ওরা ভালবেসে বিয়ে করেছে। এতে আমাদের অমত নেই। মেয়ের পরিবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিলে মামলা করা হবে না বলে বলেছিল। কিন্তু মেয়ে না ফিরতে চাইলে আমরা কী করতে পারি।” তরুণীর বাবার অভিযোগ, “আমার মেয়ে নাবালিকা। সেই প্রমাণও পুলিশকে দিয়েছি।” স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবদুল হাই বলেন, “দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। তবুও আমরা বিষয়টি দেখছি।” |