উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরিতে রাজ্য সরকার কোনওরকম সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু)। মন্ত্রী হওয়ার পরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিতে ডালুবাবু স্পষ্ট বলেন, ‘‘রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল হবেই। রাজ্য সরকার কোনও সহযোগিতা করছে না। অনেক দিন হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় সরকার আর অপেক্ষা করবে না। এ বার হাসপাতালের কাজ শুরু করতেই হবে।”
এইমসের ধাঁচে রায়গঞ্জে হাসপাতাল করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তি তুলেছিলেন। রায়গঞ্জে না করে নদিয়ার কল্যাণীতেই ওই হাসপাতাল করতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রায়গঞ্জে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে সাংসদ দীপা দাশমুন্সির নেতৃত্বে কংগ্রেস আন্দোলন শুরু করে। মন্ত্রী হওয়ার পরেই দীপাও ঘোষণা করেছেন, আগামী মার্চেই রায়গঞ্জে ওই হাসপাতালের শিলান্যাস হবে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন দীপা। |
রায়গঞ্জে হাসপাতালের জমি নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। এ দিন ডালুবাবু বলেন, “জমির ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি জমি মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনবে।” বস্তুত, ডালুবাবু জানিয়েছেন, কল্যাণীতে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল করার কোনও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেয়নি। মন্ত্রী হওয়ার জন্য এ দিন ডালুবাবুকে সংবর্ধনা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
হাসপাতাল তৈরি নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। এ দিন সিপিএমের তরফে রায়গঞ্জ শহর ও লাগোয়া এলাকায় বিশাল ফ্লেক্স টাঙিয়ে এইমস নিয়ে তিনটি প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস-তৃণমূলের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। এইমস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকারকে অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বা এইমস বাবদ যোজনা কমিশন কত অর্থ বরাদ্দ করেছে এবং জমি অধিগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে অর্থ দিয়েছে কিনা জানতে চেয়েছে সিপিএম। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত অবশ্য সিপিএমের পাল্টা সমালোচনা করে বলেন, “সিপিএম জনসমর্থন হারিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জমি ফিরে পেতে কিছু না জেনেই অবাস্তব প্রশ্ন তুলে বাসিন্দাদের ভুল পথে চালিত করার ফন্দি এঁটেছে।” |