নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
হলদিয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাবে অসন্তুষ্ট সনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহ। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস যে অবস্থান নিচ্ছে, তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। আর সেই সমর্থন পেয়েই আজ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রে কংগ্রেসের দুই নতুন মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি ও অধীর চৌধুরী। হলদিয়ার ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন দীপা। মহাকরণে মমতা হলদিয়া নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করার পরেই দিল্লিতে মুখ খোলেন দীপা দাশমুন্সি। বলেন, “একটা দুর্নীতি সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী ভাষার অপব্যবহার করছেন। একের পর এক দুর্নীতি উঠে আসলে কি মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা স্তব্ধ হয়ে যাবে?” দীপার মতে, হলদিয়া কাণ্ডের পিছনে যে কারণগুলি উঠে এসেছে, যে সব রাজনীতিকের নাম উঠেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর চুপ করে থাকা উচিত নয়। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত করা উচিত।
হলদিয়ার ঘটনার উল্লেখ করে অধীর চৌধুরীও আজ মমতাকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে ভাবে মহিলা-শিশুর উপর হামলা হচ্ছে, তাতে বাংলার ক্ষতি আটকানো যাবেনা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের কার কী হাত রয়েছে, তা সকলেই জানেন।”
দায়িত্ব পাওয়ার পরে সনিয়া-মনমোহনের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদরা। দলীয় হাইকম্যান্ড চাইছে, মমতা-বিরোধী লড়াইয়ে দীপা, অধীররা সক্রিয় হোন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সনিয়া মনে করছেন মমতা সরকারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে। তাই বলে সিপিএমের যে উত্থান হচ্ছে, এমন নয়। যদিও তারা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। বিজেপি-ও ভিত বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করছে। এই অবস্থায় মমতা-বিরোধিতার অস্ত্রে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে মমতা-বিরোধিতার পরিসর যাতে কংগ্রেস দখল করতে না পারে, সে জন্য কোমর বাঁধছে সিপিএম-ও। রাজ্য কমিটির আসন্ন বৈঠকে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে চান দলীয় নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র আজ বলেন, “কেন্দ্রে থাকার সময়ে বন্দরের অছি পরিষদে কাদের সদস্য করা হয়েছিল? কী ‘ডিল’ আছে এর মধ্যে? এ সবই উদ্ঘাটিত হওয়া দরকার।” আজ দিল্লিতেও প্রকাশ কারাট বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এখন যা যা হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই মনোভাবের ফলে অপরাধকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়।” |