উচ্চমাধ্যমিক প্র্যাক্টিক্যাল নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল সংসদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা অন্য স্কুলে হবে বলে ঘোষণা করেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই সিদ্ধান্ত বদলে নিজের স্কুলেই প্র্যাক্টিক্যাল হবে বলে জানালেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ অগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, নবম শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে পর্ষদ, খাতা দেখবেন অন্য স্কুলের শিক্ষকেরা। চলতি শিক্ষাবর্ষেই নবম শ্রেণিতে এই ‘মিনি’ মাধ্যমিক চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এই পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানান। তাঁর আপত্তিতে ‘মিনি মাধ্যমিক’-এর সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। এ বার উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যালের ক্ষেত্রেও ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সিদ্ধান্ত বদল করা হল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, অন্য স্কুলে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার এই সিদ্ধান্তও মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন করছেন না। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় মাস দেড়েক আগে জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যালও হবে অন্য স্কুলে। সংসদ সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকে এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য প্র্যাক্টিক্যালের আসন বণ্টনের কাজও এগিয়ে গিয়েছিল অনেকখানি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তও বদলাচ্ছেন সংসদ কর্তৃপক্ষ। যদিও মুক্তিনাথবাবু বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সংসদের অন্য এক কর্তা বলেন, “মাস খানেক আগে শুনেছিলাম প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা হবে অন্য স্কুলে। এখন শুনছি সেই সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছে। ঘনঘন মত বদলের ছাত্রছাত্রী-অভিভাবক বিভ্রান্ত হবেন!”
|
রান্নার গ্যাসের সংযোগ, বাড়ল সময়সীমা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
একই ঠিকানায় একই সংস্থার রান্নার গ্যাসের একাধিক সংযোগের জন্য গ্রাহকদের কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ দিন বাড়াল কেন্দ্র। মঙ্গলবার তেল মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, ওই সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ১৫ নভেম্বর করা হয়েছে। ভর্তুকিপ্রাপ্ত রান্নার গ্যাসের সংখ্যা পরিবারপিছু বছরে ছ’টিতে বেঁধে দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, এক ঠিকানায় গ্যাসের একটি সংযোগই রাখা যাবে। এক ঠিকানায় একই তেল সংস্থার একাধিক সংযোগ রাখার বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কেওয়াইসি জমা দেওয়ার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিল সংস্থাগুলি। ইন্ডিয়ান অয়েলের অন্যতম কর্তা রবীন ঘোষ এ দিন জানান, একাধিক সংযোগের পাশাপাশি কোনও গ্রাহকের ঠিকানা অসম্পূর্ণ থাকলে তাঁদেরও কেওয়াইসি জমা দিতে বলা হচ্ছে। এ দিকে, এখন এক ঠিকানায় এক পরিবারে দুটি ভিন্ন সংস্থার (যেমন আইওসি ও এইচপিসিএল বা বিপিসিএল) একাধিক সংযোগ থাকতে পারে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রেও একটি রেখে অন্যটি বাতিল হবে। আপাতত প্রতিটি সংস্থা তাদের নিজেদের (‘ইন্ট্রা কোম্পানি’) একাধিক সংযোগের তালিকা তৈরি করছে। সেই তালিকা এরপর একটি সেন্ট্রাল সার্ভারে তোলা হবে। সব সংস্থার (ইন্টার কোম্পানি) সার্বিক তথ্যের ভিত্তিতে যাচাই করা হবে একই ঠিকানায় দুই বা ততোধিক তেল সংস্থার একাধিক সংযোগ রয়েছে কি না। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মাসখানেকের মধ্যেই সেই তালিকাও চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
|
চাষের জলাভাব মেটাতে মমতার হস্তক্ষেপ চান সূর্য |
রাজ্যের তিনটি জেলা বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের একাংশে আমন ধানের ফলনে জলাভাব মেটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। ওই তিন জেলার সেচ-সেবিত প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার একর জমি মূলত ময়ূরাক্ষী নদীর সেচের জলের উপরে নির্ভরশীল। ওই এলাকার জমিতে ফলনের জন্য ম্যাসাঞ্জোর জলাধারের সাহায্য নিতে হয়। বছরের এই সময় জলের অভাব মেটানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সচরাচর ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে কথা বলে। সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া ইস্তফা দেওয়ার পরে সেচ দফতর এখন মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে। সেই জন্যই আরও বেশি করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর ছুটির পরে সরকারি দফতর খুলতেই মঙ্গলবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে জল কিনে ওই তিন জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাষের জল বণ্টন করতে হবে। সূর্যবাবুর কথায়, “এত কিছুর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর খেয়াল নেই, প্রায় ৬ লক্ষ একর জমি জলের অভাবে সমস্যায় পড়বে। ধান গাছ বাড়ছে, জল না-পেলে এত জমি বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ম্যাসাঞ্জোরের জল পেতে ঝাড়খণ্ডের সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি। কী হবে, জানি না!” |