সিপিএম এবং আরএসপি-র নেতা-কর্মী এবং তাঁদের অনুগামী-সহ অন্তত হাজার চারেক লোক তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তুললেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় এক জনসভায় আরএসপি এবং সিপিএমের ১১ জন নেতা, অন্তত দু’-আড়াইশো কর্মী এবং তাঁদের অনুগামীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনতলা বাজার সংলগ্ন ফুটবল ময়দানের সমাবেশে দলের জেলা সভাপতি চৌধুরীমোহন জাটুয়া এবং সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল ১১ জন নেতা-নেত্রীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়া আরএসপি-র প্রাক্তন প্রধান তথা মঠেরদিঘি অঞ্চলের নেতা রাজেন হালদার বলেন, “দলে মত প্রকাশের জায়গা ছিল না। দলে দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতেই দল ছাড়লাম।” ওই এলাকার সিপিএম সদস্য সোলেমন শেখ, তোফাসেল শেখ এবং ক্যানিং-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জগদীশ সাউ বলেন, “দলে স্বজনপোষণ মানতে পারছিলাম না। এ ছাড়া অযোগ্য লোককে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ জানালেও কাজ হয়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং স্বজনপোষণের জন্য দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতির কথায়, “মানুষ সিপিএমের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না। তাঁদের স্বজনপোষণ, দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রেখে আমাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন। আমরা তাঁদের যোগ্য সম্মান দিয়ে দলে নিয়েছি।” |
যদিও সিপিএম এবং আরএসপি নেতৃত্ব দলবদলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বাসন্তীর আরএসপি বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী সুভাষ নস্কর বলেন, “কয়েক বছর আগে ওই এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সাময়িক ভাবে দেওয়া হয়েছিল রাজেনবাবুকে। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ভোটের পরেই তৃণমূলে যোগ দেন। ভোটের পরপরই যাঁরা দলত্যাগ করেছিলেন তাঁদের নিয়ে তৃণমূল এখন নাটক করছে।” একই বক্তব্য সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “ক্যানিং-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শওকত মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর কয়েকজন অনুগামী, পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সেই সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তাঁদেরকে নতুন করে দেখিয়ে নাটক করছে তৃণমূল। নতুন করে দলত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না।” |