|
|
|
|
আজ বৈঠক |
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএম নেতৃত্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে সাংগঠনিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দলের জেলা সম্মেলনের পর আজ, বুধবার বৈঠকে বসছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের জেরে এ বার এক ধাক্কায় মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে দলের মহিলা প্রার্থী নির্বাচন করতে বুথ স্তর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘দলীয় মহিলা প্রার্থী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি অন্যতম প্রধান শর্ত হিসেবে থাকছেই। এ ছাড়াও এলাকার মানুষের কাছে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। বর্তমান বিরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রার্থীপদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর হুমকির জেরে যাতে তা প্রত্যাহার না করে নেয় সে জন্য সাহসী হতে হবে।”
নন্দীগ্রাম পর্বের জেরে জেলায় সাংগঠনিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়া সিপিএম এখন ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। জেলায় দলের ১২ জন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যের মধ্যে ‘নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডে’ অভিযুক্ত লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেও জেলার বাইরে। দলীয় সূত্রে খবর, জেলায় দলের সাংগঠনিক শক্তি পুনরুজ্জীবনের জন্য রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকারের পাশাপাশি দলের ‘হেভিওয়েট নেতা’ রবীন দেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দলের জেলা সম্মেলনের পর নবগঠিত জেলা কমিটি ও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে লক্ষ্মণ ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত জেলা সম্মেলন থেকে এই সময় পর্যন্ত জেলায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে জোনাল কমিটির সদস্য থেকে জেলা কমিটির সদস্যদের ডাকা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ওই বৈঠকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব, দীপক সরকার উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে জোনাল কমিটির সম্পাদকদের এলাকার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। দলীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, মুগবেড়িয়া-সহ ৬টি ব্লকে এখনও দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলায় সমস্ত বুথে দলের প্রার্থী দেওয়াও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার প্রায় ৪৩০০ বুথের অর্ধেক আসনে মহিলা প্রার্থী দাঁড় করানো আরও এক চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে একই ভাবে অর্ধেক মহিলা প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে।
সিপিএমের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এই বিপুল সংখ্যক মহিলা প্রার্থী বাছাই করতে বুথস্তরের কর্মী-সদস্যদের উপর দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মহিলা প্রার্থী নির্বাচন করতে প্রতি বুথেই ন্যূনতম ৫ জনের মহিলা দল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিলা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করা না হলেও প্রার্থীদের ভাবমূর্তি, এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সাহসী হতে হবে বলে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|