ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে ওঠার পর নির্বাচকদের কাছে
মনোজ তিওয়ারি-র প্রত্যাশা এটাই। আনন্দবাজারকে বললেন আরও অনেক কথা। |
প্রশ্ন: এই ইনিংসের পর টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার আশা কতটা?
মনোজ: আমি তো ডাকের অপেক্ষায় আছি। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পেরে ভাল লাগছে।
প্র: তা সত্ত্বেও যদি ১৫ জনের টেস্ট দলে জায়গা না হয়? এখন তো ছ’নম্বর জায়গাটা নিয়ে তুমুল লড়াই।
মনোজ: সেটা তো নির্বাচকদের ব্যাপার। আমি আমার কাজ করেছি।
প্র: আজ যুবরাজের সঙ্গে ব্যাট করে বাড়তি প্রেরণা পেলেন? ব্যাটিংয়ের সময় কী কথা হল?
মনোজ: যুবরাজ বরাবরই আমার অনুপ্রেরণা। সমিত পটেলের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময় মাঝে-মাঝে মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলছিলাম। ও-ই তখন আমাকে বেশি তাড়াহুড়ো করতে বারণ করল। বুঝলাম পরিস্থিতি বুঝে ইনিংসের গতি বাড়াতে-কমাতে হবে। তার পরেই নিজেকে শুধরে নিয়েছিলাম।
প্র: যে বলে আউট হলেন, সেটা কী মারাত্মক ছিল?
মনোজ: না, ঠিক তা নয়। বরং হাফভলি গোছের ছিল। আসলে সেই মুহূর্তে আমার মনঃসংযোগ ঠিক জায়গায় ছিল না। সে জন্যই ঠিকমতো খেলতে পারিনি।
প্র: জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও তো আপনাকে খেলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এ ভাবে বারবার বঞ্চিত হওয়াটাকে কী ভাবে সামলান?
মনোজ: আমি যে খুব আবেগপ্রবণ সেটা ঠিক। আসলে ‘ইউটিউব’-এ প্রচুর মোটিভেশনাল ভিডিও দেখে নিজেকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করি। তা ছাড়া না খেললেও দলের ড্রেসিংরুমে থেকেই অনেক কিছু শেখা যায়। আমি সে ভাবে অনেক কিছু শিখেছি। সেটাই বা কম কী?
প্র: আর মাঠে?
মনোজ: নেটে প্রচুর খাটি। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। জানি, কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলবে না।
প্র: ইংল্যান্ড দলটাকে কেমন মনে হল?
মনোজ: ভাল বোলিং অ্যাটাক ওদের। প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই বোধহয় একশো শতাংশ দিচ্ছে না। তবে ওদেরও আমাদের দলের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। |