দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প সবেতেই পটু। এক সময় ভলিবল, ব্যাডমিন্টনের মতো খেলাধূলার চর্চাও করতেন। শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব সোমা দত্ত পেশায় শিক্ষিকা হলে কী হবে ছোট বেলা থেকেই তিনি খেলাধূলায় অদম্য উৎসাহী। স্কুল, ক্লাবস্তরে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতে অংশ নিয়ে পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে বিদেশে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছেন এ বারই প্রথম। গত বছর শিলিগুড়িতে ‘মাস্টার অ্যাথলেটিক মিট’-এ রাজ্যস্তরে অংশ নিয়ে-ই তিনি সুযোগ পেয়ে যান আগামী ২-৭ নভেম্বর চিনের তাইপেতে শুরু হতে চলা ‘মাস্টার এশিয়ান অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপ’ প্রতিযোগিতায়। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তিনি শিলিগুড়ি থেকে রওনা হবেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব বিভাগে হাই জাম্প এবং লং জাম্পে অংশ নেবেন সোমাদেবী। সোমাদেবীর কথায়, “এই বয়সে কোনও দিন বড় কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হবে ভাবিনি। |
মাস্টার অ্যাথলিটদের প্রতিযোগিতার কথাও জানতাম না। পরিচিতরা খবর দিলে গত বছর শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে যখন রাজ্যস্তরে ‘মাস্টার অ্যাথলেটিক মিট’ হয় তাতে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে প্রথম হয়ে হাই জাম্প, লং জাম্পে মাস্টার এশিয়ানে সুযোগ পাই।” সোমাদেবী ফাঁসিদেওয়া বয়েজ স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা। বাবা কুমুদিনী কান্ত দত্ত এবং মা ফুলুরানি দেবী খেলাধূলায় সব সময় উৎসাহ দিতেন। সোমাদেবীরা ৫ ভাই ৩ বোন। খেলাধূলায় সকলেই উৎসাহী ছিলেন। পোস্টমাস্টার কুমুদিনীবাবু ফুটবল খেলতেন। ক্রীড়া সংগঠক পানু দত্তের পরিবারের সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ ছিল। কলেজে পড়ার সময় ছাত্রী জীবনে সোমাদেবী জিটিএস ক্লাবে ব্যাডমিন্টনও খেলতেন। রাজ্য মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের হয়ে ২৭৫ জন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তাইপেতে। তাদের মধ্যে এ রাজ্য থেকে রয়েছেন ৪ জন। সোমা দেবী ছাড়া বাকিদের মধ্যে রয়েছেন বেবি ঘোষ, রুবি গুপ্ত, ষাটোর্ধ্ব বিভাগে অরুণ সিংহ। বেবি ঘোষ শটপুট, ডিসকাস থ্রোতে, রুবি দেবী ৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটারে অংশ নেবেন। অরুণবাবুর ইভেন্ট ১০০, ২০০ মিটার দৌড় এবং ১১০ মিটার বাধা ডিঙিয়ে দৌড়। আরও এক ব্যক্তির অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে না-পারায় ভিসা পাননি। রাজ্য মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, “ওই চার প্রতিযোগীর সাফল্য নিয়ে আমরা আশাবাদী।” |