|
|
|
|
বেলদায় তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের জের |
যুব সভাপতি বহিষ্কৃত, প্রতিবাদ সভাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল দলেরই কিছু কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি দেখে কড়া হলেন নেতৃত্ব। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দলেরই যুব সংগঠনের অঞ্চল সভাপতি গৌতম পুস্তিকে বহিষ্কার করা হল। ৬ বছরের জন্য তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের বক্তব্য, “তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই সভাপতিকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”
রবিবার রাতে বেলদার হেমচন্দ্র পঞ্চায়েতের রেনুয়া গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। দলেরই কিছু কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। গুরুপদ খাটুয়া নামে এক তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি মিহিরবাবু, যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তপন উত্থাসিনী প্রমুখ। সভা থেকেই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান নেতৃত্ব। জেলার অন্য প্রান্তের সঙ্গে নারায়ণগড়েও দ্বন্দ্বে দীর্ণ তৃণমূল। হামেশাই বাধে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। গোলমালে জড়িয়ে পড়েন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ছিলেন সূর্য অট্ট এবং নতুন ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের অনুগামীরা। রবিবার রাতের ঘটনার পিছনেও যে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বই দায়ী, তা পরোক্ষে মানছেন নেতৃত্বও। এ দিন প্রতিবাদ সভা শেষে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “আমি খড়্গপুরের এসডিপিও, বেলদার ওসি’র সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে।”
দলীয় সূত্রে খবর, সোমবার নারায়ণগড়ে তৃণমূলের এক বৈঠক হয়। উপস্থিত সকলেই একমত হন, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মানা যায় না। দলীয় পদক্ষেপের দাবি ওঠে। না হলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অভিযুক্তদের খোঁজে মঙ্গলবারও ওই গ্রামে হানা দিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে যাদের যোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে। |
|
|
|
|
|