উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে প্রায় এক মাস আগে। কিন্তু এখনও চালু হল না উলুবেড়িয়া জেটিঘাট। জেটিঘাটের গেট এবং টিকিটঘর দু’টিতেই তালা মারা।
হুগলি নদীতে উলুবেড়িয়া খেয়াঘাটের পাশেই জেটিঘাটটি তৈরি হয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা এবং পশ্চিমবঙ্গ জলপথ পরিবহণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে। খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। পুরসভা দিয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। পুরসভা সূত্রের খবর, জেটিঘাট থেকে বজবজ পর্যন্ত লঞ্চ পরিষেবা চালানোর কথা। কারণ, বজবজেও রয়েছে পাকা জেটিঘাট। তবে এই নতুন রুটে লঞ্চ পরিষেবা চালু করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ জলপথ পরিবহণ সংস্থার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি প্রয়োজন। এ ছাড়াও, এই রুটে যাতে ‘হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি’ লঞ্চ চালায় সে জন্য আলোচনা চলছে তাদের সঙ্গেও। যদিও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষের দাবি, “খুব শীঘ্রই লঞ্চ পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।” |
বর্তমানে উলুবেড়িয়া খেয়াঘাট থেকে উল্টো দিকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার আছিপুর পর্যন্ত ভুটভুটি চলে। হাজার হাজার মানুষ খেয়া পার হয়ে প্রতিদিন উলুবেড়িয়া এবং আছিপুরের মধ্যে যাতায়াত করেন। তাঁদের দাবি, নতুন জেটিঘাট থেকে আছিপুর পর্যন্ত লঞ্চ চালাতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্য পুরসভার বক্তব্য, আছিপুরে প্রায় এক কিলোমিটার নদীর চর রয়েছে। তার ফলে এখানে পাকা জেটিঘাট করা কার্যত অসম্ভব। পাকা জেটিঘাট না-থাকলে লঞ্চ পরিষেবা দেওয়া যাবে না।
বছর দুই আগে জেটিঘাটটি তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, “উলুবেড়িয়া জেটিঘাট থেকে লাভজনক ভাবে লঞ্চ পরিষেবা চালাতে হলে ফুলেশ্বর এবং চেঙ্গাইলেও পাকা জেটিঘাট তৈরি করতে হবে। এই তিনটি জেটিঘাট থেকে যাত্রী তুলে বজবজ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারলে এই পরিষেবার সুফল পাবেন নিত্যযাত্রীরা। অল্প পয়সায় কম সময়ে তাঁরা কলকাতায় যাতায়াত করতে পারবেন।” এ বিষয়ে দেবদাসবাবুর বক্তব্য, “যত দ্রুত সম্ভব জেটাঘাটটি চালু করতে চাইছি। এটি চালু হয়ে গেলে এখান থেকে ভবিষ্যতে আর কোন কোন রুটে লঞ্চ পরিষেবা চালু করা যায় সে বিষয়ে অবশ্যই পরিকল্পনা করা হবে।” |