|
|
|
|
লক্ষ্য সংস্কার |
বাজেটের আগেই বাড়তে পারে রেলভাড়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রেলে আর্থিক সংস্কারের লক্ষ্যে বাজেটের আগেই ভাড়া বাড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আজ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে রেল বোর্ডের কর্তারাও সেই সুপারিশই করেছেন।
রেল মন্ত্রকের সূত্রের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সামনের বছরই পেশ হবে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে সেটিকে যথাসম্ভব জনমোহিনী করে তোলাই লক্ষ্য হবে সরকারের। তাই আগেভাগেই ভাড়া বাড়িয়ে নিতে চাইছেন নতুন রেলমন্ত্রী পবন বনশল। কারণ প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, আর্থিক হাল ফেরাতে রেলের আয় বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
আজ রেল বোর্ডের সদস্যরা রেলের ভাঁড়ারের হাল হকিকত ব্যাখ্যা করেন নতুন রেলমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের কাছে। মন্ত্রীদের তাঁরা জানান, বেতন-পেনশন খাতে খরচ বেড়েছে। অথচ রেলের আয় সে ভাবে বাড়ছে না। মন্দার জেরে ধাক্কা খেয়েছে মাল পরিবহণ। একমাত্র কয়লা ছাড়া ইস্পাত বা সিমেন্টের মতো পণ্যের পরিবহণ রেলপথে কমে গিয়েছে। এখন দেশের মোট পণ্য পরিবহণের মাত্র ৩৬ শতাংশ হচ্ছে রেলপথে। তার উপরে ডিজেলের দাম বেড়ে গিয়েছে।
ফলে রেলের সঞ্চয় এখন শূন্যের নীচে চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে সব প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, তা রূপায়ণ করতে ৭১ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। যে সব প্রকল্প এখনও অনুমোদিত হয়নি, অথচ প্রস্তাব হিসেবে মন্ত্রকের কাছে পড়ে রয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়িত করতে গেলে তো সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এই অবস্থায় আয় না বাড়লে রেল চালানোই দায়।
যোজনা কমিশনের উপাধ্যক্ষ মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া বহু দিন ধরেই ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে যাচ্ছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা হতে দেননি। প্রায় সতেরো বছর পরে শরিক দলের হাত থেকে রেল মন্ত্রক এ বারে কংগ্রেসের কাছে ফিরেছে।
ফলে আর নিছক জনপ্রিয়তার দিকে না হেঁটে রেলের সংস্কারের কাজে হাত দিতে চাইছেন মনমোহন-মন্টেক। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী এ দিন বলেন, “রেলের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আর্থিক পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হলে খোলনলচে বদলাতে হবে।” তবে মমতার ঘোষণা করা কোনও প্রকল্প বদলাতে চান না নতুন রেলমন্ত্রী। গুরুত্ব দেওয়া হবে পূর্বাঞ্চলের ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরকেও। তবে যে ভাবে রেলমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে রেল প্রকল্পের জোয়ার আনাটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই ব্যবস্থাও বদলাতে চায় কেন্দ্র।
রেলের এক কর্তা রসিকতা করে বলেন, “এ বার আমরা রেলকে জাতীয়করণ করতে চাই। এত দিন কলকাতা থেকেই রেল মন্ত্রক চালানো হয়েছে। রেলের ফাইল বয়ে নিয়ে যেতেন আমলারা। তাতেই কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে যেত। এখন থেকে রেলের ভরকেন্দ্র হবে রাজধানী দিল্লিই। সব রাজ্যকেই সমান সুযোগ দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|