|
|
|
|
বেহাল বিএসএনএল |
কর্তৃপক্ষকে দুষে লাগাতার অনশন অফিসারদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি গাফিলতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে লাগাতার অনশন শুরু করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-এর এগ্জিকিউটিভ পদের কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বছর ছয়েক আগেও বিএসএনএল যেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফ করত, সেই সংস্থার ঘাড়েই এখন বিপুল লোকসানের বোঝা। আর তার জন্য ওই কর্মীরা সংস্থার আইটিএস (ইন্ডিয়ান টেলিকম সার্ভিস) আধিকারিকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
ফোরাম অফ বিএসএনএল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনসের আহ্বায়ক শৈবাল সেনগুপ্তর দাবি, সেলওয়ান মোবাইল-সহ, ব্রডব্যান্ড এবং সাধারণ টেলিফোন পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে সমস্ত যন্ত্রপাতির দরকার বছরের পর বছর তার কোনও টেন্ডার ডাকা হচ্ছে না। ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মীরা কোনও মোডেম পাচ্ছেন না। সংস্থার ঘরে ল্যান্ডলাইন টেলিফোন যন্ত্র নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই বিসএনএল-এর এই বেহাল দশা বলে ফোরামের পক্ষ থেকে তিনি অভিযোগ করেছেন। ফোরামের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, যে সমস্ত আইটিএস আধিকারিকরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দু’টি চালাচ্ছেন, সংস্থার প্রতি তাঁদের কোনও দায়বদ্ধতাই নেই।
প্রসঙ্গত ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে বিএসএনএল-এর জন্ম হয়। তখনই ওই আইটিএস আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ২০০৫ সালের মধ্যে তাঁদের জানাতে হবে তাঁরা নতুন সংস্থায় যোগ দেবেন কী না!
ফোরামের অভিযোগ, সংস্থা চালাতে আইটিএস আধিকারিকদের প্রয়োজন আছে। কিন্তু ওই আইটিএস আধিকারিকরা বিএসএনএল-এ যোগ না দিয়ে টেলিকম মন্ত্রকের অধীনে থেকে বছরের পর বছর যেমন খুশি সংস্থা চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার লাভ-লোকসান নিয়ে তাঁদের কোনও দায়-দায়িত্ব থাকছে না। এ দিকে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি ক্রমশ রুগ্ণ হয়ে পড়ছে।
টেলিকম শিল্প মহল সূত্রে খবর, ২০০৬-’০৭ সালেও বিএসএনএল ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল। আর ২০১১-’১২ অর্থবর্ষের শেষে সেই সংস্থার মাথায় এখন ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসানের বোঝা। সংস্থার কর্তারাই জানাচ্ছেন, নানা কারণে সেলওয়ান মোবাইল পরিষেবা কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। যন্ত্রের অভাবে নতুন কোনও টাওয়ার বসানো যাচ্ছে না। নতুন ল্যান্ড লাইন টেলিফোন যন্ত্র না-থাকায় গ্রাহকদের দেওয়া যাচ্ছে না।
আন্দোলনরত ফোরামের কর্মীরা দাবি তুলেছেন, হয় ওই আইটিএস আধিকারিকদের বিএসএনএল-এর কর্মী হিসেবে যোগ দিতে হবে, না হলে তাঁদের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যেতে হবে। |
|
|
|
|
|