|
|
|
|
একই থাকল সুদ |
ফের নগদ জমা কমানোকেই হাতিয়ার করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সুদ না-কমানোর নীতিতেই অনড় থাকল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে সুদ কমানোর জন্য তাদের কাছে লাগাতার আর্জি জানিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র ও শিল্পমহল। কিন্তু আপাতত তা উপেক্ষা করে মূল্যবৃদ্ধির অসুর দমনকেই বেশি গুরুত্ব দিল তারা। ঝিমিয়ে পড়া বৃদ্ধির হারকে চাঙ্গা করতে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করল শুধু নগদ জমার অনুপাত কমানোকে। সেপ্টেম্বরের পর এ বারও।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির নগদ জমার অনুপাত (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) মঙ্গলবার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এখন তা ৪.২৫%। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, এর ফলে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলির হাতে আসবে আরও ১৭,৫০০ কোটি টাকা। নগদের জোগান বাড়বে বাজারে। কিছুটা চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। তবে সিআরআর কমানোয় এখনও সুদ ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেনি কোনও ব্যাঙ্ক। শুধু তা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। |
|
ডি সুব্বারাও। ছবি: পিটিআই |
শিল্পমহল তো বটেই। কেন্দ্রকেও আদৌ খুশি করতে পারেনি শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ না-কমানোর এই সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, “চড়া মূল্যবৃদ্ধির মতো ঢিমে আর্থিক বৃদ্ধিও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। তা মেটাতে ইতিমধ্যেই ঘাটতি কমানোর রূপরেখা পেশ করেছি। আশা করি, সকলে তা দেখেছেন।” তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে প্রয়োজনে একাই চলবে কেন্দ্র।” রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের অবশ্য দাবি, এই সিদ্ধান্ত সরকারি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূল্যবৃদ্ধির ফাঁস আলগা হলে আগামী বছরের গোড়ায় সুদ কমানোর কথা ভাববেন তাঁরা।
এক দিকে, মূল্যবৃদ্ধি। অন্য দিকে, বৃদ্ধির গতি তরান্বিত করার তাগিদ। দু’য়ের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্ক যে সহজে রেপো রেট (স্বল্পকালীন মেয়াদে ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে যে সুদে ঋণ পায়) বা রিভার্স রেপো রেট (বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে ঋণ নেয়) কমাবে না, তা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে জল্পনা তৈরি হয় গতকাল অর্থমন্ত্রী ঘাটতি ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। কারণ, ঘাটতি কমলে সুদ হ্রাসের ইঙ্গিত দিয়েছিল শীর্ষ ব্যাঙ্কও। কিন্তু আপাতত শুধু সিআরআর কমানোকেই যুক্তিযুক্ত মনে করেছে তারা। |
|
|
|
|
|