একমাস কেটে গেলেও অচল হয়েই পড়ে রইল রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের টেলিফোন পরিষেবা। বকেয়া বিল না মেটানোয় হাসপাতালের দু’টি টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে টেলিফোন বিভাগ। বকেয়ার কিছু অংশ মেটানোয় মঙ্গলবার দুপুরেই অবশ্য একটি সংযোগ পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়েছে। যদিও অন্য টেলিফোনটি এখনও অচল। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “হাসপাতালের ক্ষেত্রে বিল বাকি থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসাবে টেলিফোন সংযোগ চালু রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে টেলিফোন বিভাগ আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো সহযোগিতা করছে না।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে দু’টি মাত্র টেলিফোন লাইন। একটি আছে সুপারের ঘরে। অন্যটি ওয়ার্ডমাস্টারের কাছে। সুপারের ঘরেই রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগও। একমাস ধরে সংযোগ না থাকায় বাইরে থেকে যেমন হাসপাতালে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, তেমনই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স বা কর্মীরাও ব্যবহার করতে পারছেন না ওই টেলিফোন। একই কারণে এক মাস ধরে সমস্যায় ছিলেন সুপারও। এ দিন তার লাইনটিই চালু করেছে টেলিফোন বিভাগ। সুপার বলেন, “বিল বাকি থাকায় টেলিফোন বিভাগ এক মাস আগেই সংযোগ কেটে দেয়। পুজোর আগে দু’টি লাইনের জন্য দু’ দফায় প্রথমে ২৮ ও পরে ২৬ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে।” হিমাদ্রিবাবুর অভিযোগ, দু’দফায় ৫৪ হাজার টাকা বকেয়া বিল জমা দিয়েও টেলিফোন সংযোগ ফিরে পেতে হাসপাতালকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশিদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যদিও টেলিফোন বিভাগের রামপুরহাট অফিসের জেটিও (জুনিয়র টেলিফোন অফিসার) পিকে ভঞ্জ বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বিল বাকি রাখায় নিয়ম অনুযায়ী লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। এখন তার কী অবস্থা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
|
ঝোঁপ থেকে এক সদ্যোজাত শিশুপুত্রকে উদ্ধার করল স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার বিকালে বোলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওর্য়াডের হরগৌরীতলা এলাকার ঘটনা। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “ওই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ঝোঁপে ওই সদ্যোজাতকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার বাচ্চারা। খবর যায় বড়দের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু দত্ত, শেখ অপুরা বলেন, “আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক নার্সিংহোমে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। পরে মহকুমাশাসক ও পুলিশের নির্দেশে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।” স্থানীয় হরগৌরীতলার পুজো থেকে পাওয়া নতুন শাড়ি মুড়িয়ে ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। শিশুটি আপাতত সুস্থ।” এ দিকে, জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন সংযুক্তা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শিশুটিকে আপাতত সিউড়ি হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
গাঁজা বেচাকেনার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল খয়রাশোলের আমোদপুর গ্রামের মহম্মদ সালাউদ্দিন ও মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানা এলাকার মুক্তারপুরের মনসুর শেখ। মঙ্গলবার দুপুরে দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড় থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ২১ হাজার টাকা ও প্রায় তিন কিলো গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের কাছ থেকে গাঁজা কিনতে এসেছিল মনসুর। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। |