নিখোঁজ এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধারে উত্তেজনা তৈরি হল বোলপুরে। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় এলাকাবাসী পুলিশ কুকুরের দাবিতে দীর্ঘ ক্ষণ নিহতের দেহ আটকে রাখেন। পরে পুলিশ কুকুর এসে পৌঁছলেও এ দিন রাত পর্যন্ত ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ওই দেহ ময়না-তদন্তে নিয়ে যেতে বাধা দেন এলাকাবাসী। ঘটনার জেরে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম মুস্তফা খান (২৭)। তাঁর বাড়ি বোলপুর থানার মুলুক আদর্শপল্লিতে। জেলার পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ঘটনায় একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এ দিন ওই যুবকের দেহের পাশ থেকে একটি হাঁসুয়া, কাস্তে, বিড়ির টুকরো, গামছা ও নিহত যুবকের মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি আমরা।” |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার মুলুক আদর্শপল্লির বাসিন্দা মুস্তফা খান পেশায় দিনমজুর। সোমবার দুপুরে ঘাস কাটতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় বোলপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। নিহত যুবকের পরিবারের সদস্য মফিজুল খান বলেন, “মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গীতগাঁও-মহুলি এলাকায় একটি ধানখেতে তাঁর গলাকাটা দেহ পড়েছিল। কারা তাঁকে খুন করল বুঝতে পারছি না।”
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই দেহ দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। কিন্তু খুনের বিষয় নিয়ে পুলিশের তরফে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না, ঘটনার কিনারায় পুলিশ কুকুরও আনা হয়নি কেন এই অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পরে পুলিশ কুকুর নিয়ে এলেও অত ভিড়ে তেমন কোনও হদিশ মেলেনি। পুলিশ কুকুর আসার পরও উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করা যাচ্ছিল না। পুলিশের সঙ্গে বাসিন্দাদের একাংশ রীতি মতন বচসা শুরু করেন। ছবি তুলতে গেলে বাধা দেওয়া হয় সাংবাদিকদেরও। রাতের দিকে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়। |