চওড়া রাস্তা ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হচ্ছে। দু’পাশেই বাসস্ট্যান্ড। যানজট প্রতিদিন লেগেই থাকে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের করালিমোড় লাগোয়া চৌমাথা রাস্তায়। এটাই নিত্য দিনের ছবি। কিন্তু ‘ট্রাফিক পুলিশ’ নেই। তাই অবিলম্বে ওই চৌমাথা মোড়ে ‘ট্রাফিক পুলিশ’ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, খাতড়া শহরের করালি মোড় এবং দাসের মোড়ে দিনের অধিকাংশ সময়ে গা ঘেঁষাঘেষি করে প্রায় প্রতিটি রুটের বাস দাঁড়িয়ে থাকে। ওই দু’টি মোড়ের মাঝখানে চৌমাথা। তার থেকে কিছুটা দূরেই ট্রেকার-সহ ছোটগাড়ির স্ট্যান্ড। গাড়ি ধরতে যাওয়া সাধারণ মানুষ, সাইকেল ও মোটরবাইক আরোহী আর ছোট-বড় গাড়ির ভিড়ে দিনের বেলায় যানজট হয় গোটা এলাকায়। ফলে যাতায়াতে সমস্যা হয়। অভিযোগ, দিনের পর দিন সমস্যা হচ্ছে চৌমাথা মোড়ে। ট্রাফিকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ নেই। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “খাতড়ায় আলাদা ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই রাস্তায় আলাদা করে ট্রাফিক পুলিশ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে থানার পুলিশ কর্মীদের এলাকার কয়েকটি মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হয়।”
|
এক কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চন্দ্রিকা গরাঁইয়ের (১৬) বাড়ি কোটশিলা থানার চেকা গ্রামে। ঝালদা গার্লস হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী চন্দ্রিকার দেহ সোমবার রাতে তার বাড়ি থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে। চন্দ্রিকার বাবা, ডাক বিভাগের কর্মী পৈরাগ গরাঁই বলেন, “আমি সোমবার ঝালদায় গিয়েছিলাম। স্ত্রীও বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফাঁকা ছিল। তখনই দরজায় খিল দিয়ে নিজেকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিল।” পৈরাগবাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ের চেহারা নিয়ে গ্রামের কিছু ছেলে চন্দ্রিকাকে খেপাত। রবিবারও তাকে খেপানো হয়েছিল। তার পর থেকে চন্দ্রিকা মনমরা ছিল। বলতে বলতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পৈরাগবাবু। পুরুলিয়ার এসপি সি সুধাকর বলেন, “তদন্ত করে দেখছি।”
|
খবর পেয়ে এক নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর এলাকায়। বাঁকুড়া সদর থানার আইসি সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, “স্থানীয় সূত্রে খবর ওই এলাকার একটি বস্তিতে পুলিশ পাঠাই। সেখানে এক নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় করছেন পরিবারের লোকজন। পুলিশ ওই নাবালিকার পরিবারের লোকজনকে থানায় নিয়ে আসে। এই বিয়ে আইন বিরুদ্ধ বলে তাঁদের বোঝানো হয়।” |