রান্না করার সময়ে উনুনের আগুন ছিটকে ভস্মীভূত হয়ে গেল ১২টি বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৬টি বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ গ্রামের গোঁসাইপাড়ায়। ঘটনাস্থলে যান কাটোয়ার মহকুমাশাসক আর অর্জুন, এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুব দাস-সহ অন্য আধিকারিকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঁসাইপাড়ায় মোট ৮০টি পরিবারের বাস। প্রতিটি বাড়িই পাটকাঠি ও খড়ের তৈরি। ওই পাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দাই শ্রমজীবী। এ দিন সকালে রান্না করার সময়ে থেকে উনুনের আগুন ছিটকে নলীন মণ্ডল নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ১৮টি বাড়িতে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১২টি বাড়ি। বাসিন্দারাই জলাশয় থেকে পাম্পের সাহায্যে জল তুলে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন। |
নলীনবাবু বলেন, “আমি মাঠ থেকে বেগুন নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার স্ত্রী পুকুরে গিয়েছিল বাসন মাজতে। দূর থেকে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ছুটে বাড়ি আসি। দেখি, দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে ঢুকে দেখি, আড়াই বছরের ছেলে ঘরেই ঘুমোচ্ছে। কোনও রকমে ওকে নিয়ে বাইরে চলে আসি।” এ দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সব খুইয়েছে আশপাশের ১২টি পরিবার। ওই পাড়ার বাসিন্দা, স্নাতকস্তরের ছাত্রী চম্পা মণ্ডলের কথায়, “বাবা অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়াচ্ছিলেন। আগুনে আমার বইপত্র থেকে প্রয়োজনীয় নথি, সবই পুড়ে গিয়েছে।”
অগ্রদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলে আইসিডিএস থেকে শিশুদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে। বড়দেরও রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে।” কাটোয়ার মহকুমাশাসক বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কী ভাবে দাঁড়ানো যায়, দেখছি।” |