কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় দাঁইহাট শহরে পাইকপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন কংগ্রেসের দুই ও তৃণমূলের এক জন কর্মী। তাঁরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনের দাঁইহাট স্টেশনের পাইকপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে মাসখানেক আগে দলীয় কার্যালয় তৈরি করে কংগ্রেস। কিছু দিনের মধ্যেই কিছুটা দূরে একটি গুদামঘর ভাড়া নিয়ে তৃণমূলও ‘পাল্টা’ কার্যালয় তৈরি করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এ দিন পাইকপাড়ায় এক ব্যক্তির অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তখনই তৃণমূলের লোকজন তাদের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে জখম হন সিদ্দিক শেখ ও আনু শেখ। তাঁরা দু’জনেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। |
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে ভাঙা চেয়ার-টেবিল পড়ে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দলের নথিপত্রও। তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঘরটি তালাবন্ধ। ঘরের সামনে থাকা দলনেত্রীর একটি ফ্লেক্স ছেঁড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
কংগ্রেস কর্মী আব্বাস শেখ, মোস্তাফা শেখদের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। তা সত্ত্বেও ওদের চোখের সামনে বহু পরিশ্রম করে এই কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল। তখন থেকেই ওরা হিংসায় জ্বলছে। আর সেই কারণেই আমাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হল।” কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিপিএমের কিছু দুষ্কৃতী এখন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করেনি। সেই কারণেই বিনা প্ররোচনায় দলীয় দফতরে ভাঙচুর চালানো হল।”
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেন পূর্বস্থলীর তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা নেতা তপন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূলের শক্তি বাড়ছে। কংগ্রেসের কমছে। তাই কংগ্রেসিরা আমাদের উপরে আক্রমণ করেছে। আমাদের কর্মী আকাই মোল্লা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।” পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। |