ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে এমএমএসের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার করণদিঘি থানার পুলিশ নদীয়ার চাকদহ থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম জ্যোর্তিময় বিশ্বাস। বিএ প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের বাড়ি করণদিঘিতে হলেও সে পড়াশোনা করে বনগাঁয়। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা ধর্ষিতা ছাত্রী অভিযুক্তের বাড়িতে সাইকেল রেখে স্কুলে যেত। গত ৩ জুলাই অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীটিকে কুলিক পক্ষী নিবাসে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে পুলিশ খুঁজছে। মঙ্গলবার ওই যুবককে আদালতে তোলা হলে বিচারক বিকাশ লামা অভিযুক্তকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৭৬ (২) জি, ৬৬, ৬৭ আই টি অ্যাক্ট ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। এদিন সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে করণদিঘি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গোলমাল হয়। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক ডালখোলা শ্রীঅগ্রসেন কলেজের শিক্ষক মানস জানা-সহ দু’জন। কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে ওই সংগঠন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে করণদিঘিতে সমস্ত স্কুলে ধর্মঘটের ডাক দেয় ওই সংগঠন। এ দিন এলাকার সমস্ত স্কুল বন্ধ ছিল। কমিটির পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিলও বার করা হয়। তার পরেই বিডিও অফিস ঘেরাও করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিডিও না থাকায় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে উত্তেজিত জনতা ঢিল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। করণদিঘি থানার আইসি সুকুমার মিশ্র জানান, ৩ পুলিশকর্মী অফিসার জখম হন। |