ভক্তিনগর থানাকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সংগঠিত আন্দোলনে দ্বিমত তৈরি হল জলপাইগুড়ির আইনজীবীদের মধ্যেই। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি বার আসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় কংগ্রেস এবং বামপন্থী আইনজীবীরা কমিশনারেটে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বুধবার থেকে তিনদিন আদালতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। তাঁদের দাবি সার্কিট বেঞ্চের কাজ জলপাইগুড়িতে শুরু করতে রাজ্য সরকার আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছেন। সে কারণেই এই মুহূর্তে সরকার বিরোধী আন্দোলনের যুক্তি থাকতে পারে না। এই যুক্তি আবার মানতে চাননি কংগ্রেস ও বামপন্থী আইনজীবীরা। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, সার্কিট বেঞ্চের সঙ্গে ভক্তিনগরের কোনও সম্পর্ক নেই। ভক্তিনগরকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের এক্তিয়ার থেকে সরিয়ে নিয়ে গেলে জেলা আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে। এদিন বার আসোসিয়েশনের সভায় দু’পক্ষের বক্তব্য নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে প্রবল মতানৈক্য তৈরি হয়। পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলা আদালতে কর্মবিরতি পালন করবেন আইনজীবীরা। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “ভক্তিনগর থানাকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অর্ন্তভুক্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনদিনের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” যদিও আগামী তিনদিনই তাঁরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্যরা। তৃণমূলের আইনজীবী সেলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, “এদিন বার আসোসিয়েশনের সভায় সহ সম্পাদক কিশোর চন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল আইনজীবী সেলের সদস্যরা প্রতিবাদ করেছেন। ভক্তিনগর শিলিগুড়ি কমিশনারেটে গেলেও জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের এক্তিয়ারেই থাকবে। কাজেই সরকার বিরোধী আন্দোলনের কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে রাজ্য সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের কথাও মাথায় রাখতে হবে।” শিলিগুড়ি কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কি না তা জানতে তথ্য জানার অধিকারে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি লোকসভা যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। ডিওয়াইএফের তরফেও কমিশনারেটে ভক্তিনগর থানার অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |