টুকরো খবর
পরিবহণ পরিকল্পনা ২০৩০
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১৫/২৫ কিমি। বাড়ছে মোটর বাইক এবং গাড়ির সংখ্যা। যে রাস্তায় ঘন্টায় ১০০ গাড়ি চলাচল করতে পারে সেখানে অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুণ, তিনগুণ চলছে। তাতেই যানজট হচ্ছে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি শহরে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ার কাজে হাত দিয়েছে এসজেডিএ। বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে তারা তৈরি করছেন ট্রাফিক অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন মাস্টার প্ল্যান অব এসজেপিএ (শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি প্লানিং এরিয়া) অ্যান্ড কমপ্রিহেন্সিভ মোবিলিটি প্ল্যান। ২০৩০-এর কথা ভেবে এ পরিকল্পনা হচ্ছে। কী রয়েছে এখন পর্যন্ত তৈরি খসড়া পরিকল্পনায়? এসজেডিএ সূত্রেই জানা গিয়েছে, শহরকে ঘিরে ‘রিং রোড’ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। রিং রোডের ভিতরে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। মহানন্দায় আরও সেতু, তিস্তার সেবকে বিকল্প সেতুর কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির রাস্তা ন্যুনতম ৬ লেনের করায় মত দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তা চওড়া করা, ওই পথে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস চালুর কথা বলা হয়েছে। এনজেপি’র দক্ষিণে পণ্য ওঠানামানোর ব্যবস্থা। নকশালবাড়ি, জলপাইগুড়িতে ট্রাক টার্মিনাল তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। শিলিগুড়ি শহরের যানজট এড়াতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসকেও শহরের বাইরে পরিবহণ নগরের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই খসড়া পরিকল্পনায়।

পুর-সিদ্ধান্তে ক্ষোভ শহরে
ভরা বর্ষায় রাস্তা সংস্কারের কাজ সারতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে শহরের বাসিন্দারা তো বটেই পুরসভার আধিকারিকদের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বর্ধমান রোড, এসএফ রোডের মতো রাস্তাগুলিও খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার মেয়র পারিষদের বৈঠকে পূর্ত বিভাগের তরফে জানানো হয়, বর্ষার মধ্যেই বিশেষ সামগ্রী দিয়ে শহরের রাস্তাঘাট মেরামতির কাজ করা হবে। পূর্ত দফতরের অধীনে থাকলেও বাসিন্দাদের সমস্যার কথা ভেবে তাদের সঙ্গে কথা বলে হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের মতো রাস্তায় মেরামতির কাজ দু’ এক দিনের মধ্যে শুরু করা হবে। পূর্ত দফতরের রাস্তাগুলি ছাড়াও শহরের অন্যান্য রাস্তাগুলির অধিকাংশই বেহাল হয়ে পড়েছে। তা নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছেই। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আর্থিক কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “বিশেষ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ করা যাবে। পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা কিছু রাস্তাতেও পুরসভার তরফে দ্রুত মেরামত করা হবে।”

স্কুল বাসে অভিযান শুরু হল
ছবি: কার্তিক দাস।
কোনও বাসের চালকের লাইসেন্স নেই। কোনও বাসের চাকার অবস্থা খারাপ। কারও ‘ফাস্ট এড বক্সে’ ওষুধ নেই। সেখানে মিলেছে তেলের কৌটা। আবার জানলা দরজা ঠিক নেই। এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার পরে শিলিগুড়ি শহর এবং লাগোয়া এলাকায় স্কুল বাস পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের দার্জিলিং মোড়ে দফায় দফায় ১৭টি স্কুল বাসকে দাঁড় করিয়ে সমস্ত কিছু পরীক্ষা করা হয়। শিলিগুড়ি ট্রাফিকের আইসি হেমন্ত দাসের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশের অফিসারেরা ওই অভিযান চালান। ৮টি বাসের বিরুদ্ধ মামলা হয়েছে বলে। অফিসারেরা জানিয়েছেন। একাধিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। কয়েকনকে সতর্ক করা হয়েছে। ৮টি বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এয়ারভিউ মোড়ে ওই ধরণের অভিযান চালানো হয়। জলপাই মোড় এবং সেবক রোড এলাকায় অভিযান চালানো হবে বলে ট্রাফিক অফিসারেরা জানিয়েছেন।

সেমিনার
স্কুল-কলেজে ভর্তি সমস্যা মেটাতে দাবি তুলল অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইসা), বিপ্লবী যুব সংগঠন। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির রামকিঙ্কর হলে শিক্ষার অধিকার, সম্মানের সঙ্গে কর্মসংস্থান বিষয়ে এক সেমিনারে এ কথা জানান তাঁরা। আইসার রাজ্য কমিটির সদস্য রণজয় সেনগুপ্ত বলেন, “কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ দখলের নামে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। শিক্ষা বিষয়ে রাজ্যে কিছু বিল পাশ হতে চলেছে যাতে বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ দেশে তাদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করতে পারে। আমরা এর বিরুদ্ধে। স্কুল কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের সমস্যা মেটানোর দাবি তোলা হয়েছে।”

নালিশ
পতিতাপল্লির শিশুদের একটি স্কুলে ভাঙচুরের জেরে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ করল অভিভাবক মঞ্চ। সোমবার শহরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই স্কুলে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড, আলমারি ভাঙে বলে অভিযোগ। সর্বশিক্ষা প্রকল্পে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই স্কুল চালাত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.