নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
বিয়ের সব আয়োজন তখন শেষ। অতিথিরাও একে একে আসছিলেন। এমন সময় থানা থেকে মেজবাবু গিয়ে বিয়ে আটকে দিলেন। কারণ পাত্রী নাবালিকা। কাজেই এই বিয়ে আইনসঙ্গত নয়। সোমবার সারেঙ্গার ঘটনা। সারেঙ্গা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রীর বয়েস ১৫ বছর। খবর পেয়েই মেজবাবু শশাঙ্কশেখর লায়েক সেখানে যান। প্রথমে পাত্রীপক্ষের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিয়ে বন্ধ করায় রাজি হন। সারেঙ্গা থানার আইসি শ্যামাপ্রসাদ সিংহরায় বলেন, “এত কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে ক্ষতিকর তা বোঝানোর ও তা নাহলে শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর ওঁরা বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।” মেয়ের বাবা রিকশাচালক। তিনি বলেন, “আমার পারিবারিক অবস্থা ভাল নয়। তাই ভাল পাত্র পেয়ে মেয়ের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছিলাম। তবে সব আয়োজন শেষে এ ভাবে বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।”
|
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডাকাতি করতে জড়ো হওয়া ছয় দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল ঝালদা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তার কেন্দুয়াডিহি পাহাড়ের কাছ থেকে ওই ছ’জনকে ধরা হয়। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বাঘমুন্ডি থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি, কুড়ুল ও রড উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় কোনও গ্রামে ডাকাতি করার জন্য কিছু দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে বলে পুলিশ খবর পায়। সেই খবর পেয়ে ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাস্তার উপর ওই পাহাড়ের কাছ থেকে ৬ জনকে পাকড়াও করা হলেও ডাকাতদলের বাকি ৭-৮ জন অবশ্য পালিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, ঝাড়খণ্ডের মুরি ও সিলি থানা এবং ঝালদায় ধৃতদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আছে। মঙ্গলবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
আগামী দিনে ব্যবসার ক্ষেত্র হতে পারে জমি। জমিকে ব্যবহার করেই তৈরি করতে হবে আধুনিক প্রগতিশীল কৃষক। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এ দিন সকালে মন্ত্রী হিড়বাঁধের ঝড়িয়াকোচা গ্রামে একটি আমবাগান পরিদর্শন করেন। পরে ছাতনায় বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি একটি ‘বাণিজ্যিক পশুপালন কেন্দ্র’-এরও উদ্বোধন করেন তিনি। ছিলেন ছাতনার বিধায়ক শুভাশিস বটব্যাল, বাঁকুড়ার বিধায়ক মিনতি মিশ্র, উদ্যানপালন দফতরের জেলা আধিকারিক সুপ্রতীক মৈত্র প্রমুখ। |