নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
কন্যা সন্তান হওয়ার ‘অপরাধে’ বধূকে শারীরিক নির্যাতন ও শিশুটিকে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট থানার দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মাম্পি বিবি নামে ওই বধূ এই মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত সজল শেখ ও পরিবারের আরও চার সদস্য পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। |
মায়ের সঙ্গে সোহেনা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদপুর গ্রামের বাবু শেখের ছেলে সজলের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে রামপুরহাটের বনহাট গ্রামের নুর মহম্মদ শেখের মেয়ে মাম্পির বিয়ে হয়। মাস তিনেক আগে বাপেরবাড়িতে তাঁদের কন্যা সন্তান হয়। ওই বধূর অভিযোগ, “কন্যা সন্তান হওয়ার পরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। গত ১৩ জুলাই শাশুড়ি আমাকে এবং মেয়ে সোহেনাকে বাড়ি নিয়ে যান। তার দু’দিন পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি মেয়েকে মেরে ফেলার আমার উপরে জন্য মানসিক চাপ দিতে থাকেন। পরে মারধরও করেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, “সোমবার রাতে ঘুমিয়ে থাকাকালীন স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ মেয়েকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। হঠাৎ মেয়ে কেঁদে ওঠায় ঘুম ভেঙে গেলে স্বামী আমাকে মারধর করে এবং মেয়েকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কোনও ভাবে পালিয়ে আমি গ্রামের একটি ফাঁকা বাড়িতে রাত কাটাই। সকালের দিকে বাপেরবাড়ি চলে যাই।”
|