|
|
|
|
এসিজেএমের এজলাস বয়কটনিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে ঘাটালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
আঠারো দিন হতে চলল ঘাটালে এসিজেএমের এজলাস বয়কট চালিয়ে যাচ্ছেন আইনজীবীরা। গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাজজ পার্থপ্রতিম দাস অচলাবস্থা কাটাতে ঘাটালে এসেছিলেন। আইনজীবীদের বয়কট প্রত্যাহারেরও অনুরোধ করেন তিনি। তার পরেও বয়কট চলছেই। চূড়ান্ত হয়রান হচ্ছেন বিচার-প্রার্থীদের। পুলিশ-ফাইলে প্রতিদিনই এসিজেএমের এজলাসে হাজির করা হচ্ছে ধৃতদের। ধৃতদের জামিন পেতে সমস্যা হচ্ছে। এসিজেএমের এজলাসে বিচারাধীন মামলাগুলিতেও শুধু তারিখ পড়ে যাচ্ছে। বিচারপ্রার্থীরা এসে ঘুরে যাচ্ছেন। জেলা-আদালত বা হাইকোর্টে জামিন হয়েছে যাঁদের, বেলবন্ড জমা করে এসিজেএম আদালত থেকে রিলিজ অর্ডার পেতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিচারপ্রার্থী, রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে আদালতেরই একাংশ আইনজীবী এবং মুহুরিদের মধ্যেও। তার পরেও বয়কটপন্থীরা অচলাবস্থা জিইয়ে রেখেছেন।
ঘাটাল আদালতের প্রবেশপথে সাইকেল, মোটরবাইকের ভিড় থাকত সর্বক্ষণ। তার একাংশ আইনজীবীদেরই। এসিজেএম পুলিশ ডেকে বেআইনি ভাবে পার্ক করা সাইকেল-মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সে-সব ফেরত দিয়ে দেওয়াও হয়। তা হলেও কেন এসিজেএম বার-অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আগে আলোচনা না করে বাজেয়াপ্ত করিয়েছিলেন ‘অভিমানে’ই এজলাস বয়কট শুরু করেন আইনজীবীরা। যে ভাবে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বয়কট চলছে, তাতে এখন সব মহলেই বিরক্তি তৈরি হচ্ছে।
আইনজীবী এবং মুহুরিদের একাংশও ক্ষুব্ধ। নাম-প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনজীবীরা একান্তে বলছেন, “দ্রুত এই অচলাবস্থা না কাটলে আমরা কাজ শুরু করে দেব।” ক্ষুব্ধদের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে। এর পরেও বয়কটপন্থীদের পক্ষে আইনজীবী জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলছেন, “বয়কট যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এর বেশি কিছু বলব না।” এই মনোভাবের বিরোধিতায় মঙ্গলবার আদালত চত্বরে পোস্টার সাঁটিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা দিলীপ ডাগুরের বক্তব্য, “বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আদালতে অচলাবস্থা না-কাটলে আমরা আন্দোলন শুরু করব।” সিপিএমের ঘাটাল জোনাল সম্পাদক অশোক সাঁতরারও বক্তব্য, “আইনজীবীদের এই সিদ্ধান্ত মানা যায় না। দলীয় ভাবে এ বার আমরা আন্দোলন শুরু করব।” তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “বিচারপ্রার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন। তাই এই বয়কট আমরা সমর্থন করছি না।” কংগ্রেস নেতা তথা ঘাটালের চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামীরও বক্তব্য, “আমরা দ্রুত সমাধান চাই। তাতে সকলেরই ভাল হবে।” বয়কটপন্থীরা কি শুনছেন?
ডেপুটেশন। জঙ্গলমহলের অসেচ এলাকায় ৯০ শতাংশ মানুষকে বিপিএল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, সপ্তাহে ৫ দিন রেশন দোকান খোলা রাখা, রেশনে বিপিএল পরিবারগুলির প্রাপ্য খাদ্যশস্যের পরিমাণ বাড়ানো, রেশনে ক্যাশমেমো দেওয়া বাধ্যতামূলক করা-সহ ৮ দফা দাবিতে মহকুমা খাদ্য-নিয়ামক স্বপন তরফদারকে মঙ্গলবার গণ-স্মারকলিপি দিল ঝাড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেস ও যুব-কংগ্রেস। ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম মহকুমা-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী। ছিলেন প্রশান্ত মণ্ডল, তাপস মাহাতো প্রমুখ। |
|
|
|
|
|