|
|
|
|
চাষজমিতে সেই নোনাজল,অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ঠিকারদারকে সব টাকা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভগবানপুর-১ ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত কোটবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় খালের নোনাজল ঢুকে ধানের বীজতলা ও চাষজমি নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য গীতা দাসের নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েতের প্রধান ও কর্মীদের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও বিডিও-র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বও।
পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে কলাবেড়িয়া বাজার সংলগ্ন কলাবেড়িয়া-গোপীনাথপুর রাস্তার উপরে ২ লক্ষ ২১ হাজার টাকায় একটি কালভার্ট ও লকগেট তৈরির কাজ শুরু হয়। |
|
ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
পঞ্চায়েত সদস্য গীতা দাসের অভিযোগ, বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কালভার্টে লকগেটের সাটার না বসানোয় খালের নোনাজল চাষ জমিতে ঢুকতে শুরু করেছে। এ দিকে, পঞ্চায়েত সূত্রেরই খবর, ঠিকাদার কাজ শেষ না-করলেও তাকে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাকা পেয়েও ঠিকাদার কাজ শেষ করছেন না। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুন রশিদ ও জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায়ের দাবি, “নির্মাণ-সহায়কের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানের দোষ নেই।” প্রধান তনুশ্রী মেইকাপ মন্তব্য করতে চাননি। তবে, বিডিও হরিহর বালার বক্তব্য, “কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও প্রধান ঠিকাদারকে সব টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এটা প্রধানের ত্রুটি। নিজের দায়িত্বে এক সপ্তাহের মধ্যে সাটার বসাতে ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাষ নষ্ট হওয়ায় বীজধানের জন্য চাষিরা আবেদন জানালেও সাহায্য করা হবে।” |
|
|
|
|
|