|
|
|
|
| |
| শালবনি ইস্পাত কারখানা |
| নয়া চুক্তি আগামী মাসেই |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শালবনিতে ইস্পাত কারখানা গড়ার জন্য আগামী মাসেই জিন্দল গোষ্ঠীর সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জিন্দল গোষ্ঠীর কর্তা সজ্জন জিন্দলের উপস্থিতিতে ওই চুক্তি হওয়ার কথা।
মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান চেম্বারের এক সভায় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, আগামী ৮ বা ৯ অগস্ট শালবনিতেই ওই চুক্তি হবে বলে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে। কারণ সে সময়ে বেলপাহাড়ি-সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, জিন্দলদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তিটি করছে রাজ্য। তাঁর কথায়, “এতে রাজ্য ও লগ্নিকারী, দু’পক্ষই লাভবান হবে।” পার্থবাবুর দাবি, পূর্বতন সরকারের আমলে লগ্নি প্রস্তাব এলেও তা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
 ঠিক দু’সপ্তাহ আগে সংস্থা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে পার্থবাবু জানিয়েছিলেন শীঘ্রই চুক্তি সই হবে। রাজ্য আর দেরি করতে চায় না। এ দিন তিনি জানান, চুক্তির সময় থেকেই প্রকল্প গড়ার সময়সীমা নতুন ভাবে ধরা হবে। উল্লেখ্য, চুক্তির পর থেকে তিন বছর প্রকল্প গড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ওই এলাকায় একটি হাসপাতাল তৈরির জন্য জিন্দল গোষ্ঠীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫০টি শয্যার ওই হাসপাতাল তৈরি করেছে তারা। চুক্তির সময় সেটিও চালু করার কথা ঘোষিত হবে।
সংস্থা সূত্রে খবর, গত সোমবার শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে জিন্দল কর্তৃপক্ষের বৈঠকেই চুক্তির নানা দিক নিয়ে সহমত হয় দু’পক্ষ। ফলে তা চূড়ান্ত করার পথ প্রস্তুত। নিগম চুক্তির খসড়া তৈরি করে সংস্থাকে দেবে। সংস্থা তাতে সায় দিলেই সই হবে। আগামী কাল সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে শালবনি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। চুক্তি সইয়ের প্রসঙ্গও উঠবে।
২০০৫-এ বিগত রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতাপত্র সই হলেও জমির লিজ চুক্তি হয়নি। জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনে শিল্পের জন্য বাড়তি জমি রাখার প্রয়োজনীয় অনুমোদনও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর দেয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ২৫ একরের বেশি জমি রাখতে গেলে ১৪ ওয়াই ধারায় আবেদন করতে হয়। এবং এই অনুমোদন ছাড়া লিজ চুক্তি হয় না। তাই সরকার বদলের পরে এই জটেই জিন্দল প্রকল্প আটকে যায়।
প্রকল্পে প্রয়োজন ৪,৩৩৪ একর জমি। এর ৩,০৩৫ একর খাস। ৭৯৯.৯৭ একর প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর থেকে নিয়ে সংস্থাকে দিয়েছে রাজ্য। ১৮৯.৬২ একর পাট্টা মালিকদের থেকে কিনেছে নিগম। বাকি ২৯৪ একর কিনেছিল সংস্থা নিজেই। সমস্যার সূত্রপাত এই ২৯৪ একর ঘিরেই। অবশ্য পরে রফাসূত্র বেরোয়। আইনি পথে হেঁটে বিতর্কিত জমি প্রথমে খাস করে নেবে রাজ্য। তার পরে সেই জমি হাতে পাওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে আবেদন করবে সংস্থা।
এ দিন শিল্পমন্ত্রী জানান, লগ্নি টানতে দেশের বিভিন্ন বড় শহরে শিল্প সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে তাঁর দফতর। জানুয়ারিতে কলকাতায় প্রথম শিল্প সম্মেলন ‘বেঙ্গল লিডস’ আয়োজন করে রাজ্য। দিল্লিতেও লগ্নিকারীদের সামনে রাজ্যকে নতুন ভাবে তুলে ধরেছে সরকার। একই ভাবে মুম্বই, চেন্নাই, চণ্ডীগড়, কর্নাটকেও পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা। পার্থবাবু জানান, ভারতীয় লগ্নিকারীদের আস্থা পেতে এই উদ্যোগ। বিদেশি লগ্নিকারীদের চেয়েও যাঁরা রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডার কয়লা সংস্থাকে অধিগ্রহণ। রয়টার্সের খবর: কানাডার কয়লা উৎপাদক সিআইসি এনার্জি কর্প-কে কিনছে জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার। হস্তান্তর মূল্য ১১.৬০ কোটি কানাডীয় ডলার। |
|
|
 |
|
|
