গ্রামে ‘সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে’ পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন বাসিন্দারা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হিয়াৎপুর গ্রামে। এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই এলাকারই আর এক তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, “সিপিএম থেকে আসা ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে আমার কিছু অনুগামীকে মারধর করা হয়েছে।” প্রহৃতদের মধ্যে চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে মহকুমা হাসপাতালে। ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের একটি অংশ ওই গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরে অন্যায় জুলুম, অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। পুলিশ-প্রশাসন, দলীয় বিধায়কের কাছে এ নিয়ে দরবার করেও সুরাহা হয়নি।
তারকেশ্বরের এক যুবক ওই গ্রামে এসে তৃণমূলের ওই ছেলেদের হাতে মার খায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে সালিশি সভা ডাকেন। অধিকারীপাড়ার বারোয়ারিতলায় ওই সালিশি সভায় ডাকা হয় তৃণমূলের ‘অত্যাচারী’ বলে অভিযুক্ত দেবকুমার পাত্র, অশোক আদক, বিকাশ অধিকারী, মলয় মুখোপাধ্যায় এবং মাধব পালকে। কিন্তু তাঁরা কেউই হাজির হননি। সোহরাবের দাবি, ওই পাঁচ জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভায় পেটান হয়। অন্য দিকে বিশ্বনাথবাবু বলেন, “যা ঘটার আমার সামনেই ঘটেছে। জোর করে তুলে আনার প্রশ্নই নেই।” তিনি বলেন, “বিষয়টি বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা এবং জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তকে জানিয়েছি।” তপনবাবুর বলেন, “শুনেছি আমাদের সমর্থক কিছু গ্রামবাসীই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কয়েক জনকে পিটিয়েছে। পুলিশকে বলেছি, দল দেখবেন না। শান্তি বজায় রাখতে ব্যবস্থা নিন।” |