কোনও কাজই হচ্ছে না হাওড়া এবং বালি পুরসভায়। মঙ্গলবার বালির মধ্য জয়পুর বিল এলাকায় হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার (এইচআইটি) অনুষ্ঠানে এসে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, “হাওড়ার মেয়রকে বহুবার উদ্যোগী হতে বলেছি। কিন্তু তাঁর সব কিছুতেই গা-ছাড়া ভাব। বালিতেও এক অবস্থা।” প্রসঙ্গত, হাওড়া ও বালি দু’টি পুরসভাই বামফ্রন্ট পরিচালিত।
পুরমন্ত্রীর অভিযোগ, হাওড়া এবং বালি পুরসভা নামেই রয়েছে। কিন্তু যে কোনও কাজের জন্য পুরমন্ত্রীকেই উদ্যোগী হতে হচ্ছে। পুর-কর্তৃপক্ষেরা নিজে থেকে কোনও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন না। মন্ত্রী আরও বলেন, “বালি পুরসভায় অচলাবস্থার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছিল। হাওড়া পুরসভা ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে সেখানেও প্রশাসক নিয়োগের কথা ভাবতে হবে।” পাশাপাশি তিনি জানান, বালি পুরসভার জলপ্রকল্প তৈরির কাজ কী পর্যায়ে রয়েছে, সে বিষয়ে হাওড়ার জেলাশাসককে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়াল পুরমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বালি পুরসভার চেয়ারম্যান অরুণাভ লাহিড়ি অবশ্য বলেন, “মন্ত্রী যদি এমন কথা বলে থাকেন, তবে ১৫ দিনের মধ্যে আরও উন্নয়নমূলক কাজের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠাব।”
এইচআইটি সূত্রে খবর, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে শেওড়াপোতা, সুতি, পিজরাপোল খালের সংস্কার হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই খালগুলির উপরেই বালি জগাছা ব্লকের ৩টি পঞ্চায়েতের নিকাশি ব্যবস্থা নির্ভরশীল। খাল সংস্কারের ফলে বর্ষার পরেও ওই তিনটি এলাকার মানুষ জলবন্দি থাকবেন না।” পাশাপাশি মধ্য জয়পুর বিল এলাকার কয়েকটি রাস্তাও পাকা করা হয়েছে। পুরমন্ত্রী এ দিন বলেন, “বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বালি গ্রামাঞ্চলে জলের সমস্যা মেটাতে জলপ্রকল্প তৈরির অনুরোধ করেছেন। ডিপিআর হয়ে গিয়েছে। আশা করি, জেএনএনইউআরএম-২ মিশনে প্রকল্পটি অনুমোদিত হবে।” |