দাদার উপরে ‘প্রতিশোধ’ নিতে স্কুলপড়ুয়া ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল তিন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর
|
মহম্মদ ইসলাম
ওরফে রাজা। |
চালায় জনতা। মারধর করা হয় এক জনকে। খুনে জড়িত অভিযোগে দ্বাদশ শ্রেণির
এক ছাত্র-সহ দু’জনকে ধরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মহম্মদ ইসলাম ওরফে রাজা (১২) নামে ওই কিশোরের বাড়ি রিষড়ার আর কে রোডে। শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল রিষড়া অঞ্জুমান হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র। ওই রাতেই শ্রীরামপুর থানায় ডায়েরি করেছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। পাড়ারই তিন জনের সঙ্গে শনিবার শেষ দেখা গিয়েছিল রাজাকে। প্রতিবেশীদের সন্দেহ গিয়ে পড়ে সেই তিন জন মহম্মদ নৌসাদ, মহম্মদ চাঁদ এবং তাদের সঙ্গী দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের উপরে।
সোমবার রাতে নৌসাদ এবং ওই ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্রতিবেশীরা। তাদের জেরা করে ওই রাতেই পিয়ারাপুরের কাছে দিল্লি রোডের ধার থেকে রাজার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ধৃতদের ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। |
মঙ্গলবার সকালে নৌসাদ, চাঁদ ও ধৃত ছাত্রের বাড়িতে চড়াও হয় জনতা। শাবল, গাঁইতি, লাঠি দিয়ে বাড়ি তিনটি কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। ইতিমধ্যে চাঁদকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। তাকে মারধর করা হয়। পুলিশ চাঁদকে উদ্ধার করে। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ওই যুবককে।
কেন খুন হল রাজা? তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, জুয়ার টাকাপয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন। ধৃতেরা সকলেই জুয়া খেলত। এমনকী, রাজার দাদাও ছিল সেই দলে। জেরায় ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে, রাজার দাদা ক’দিন আগে তাদের কাছ থেকে জুয়ায় কয়েক হাজার টাকা জেতে। ওই টাকা ফেরত পেতে রাজাকে অপহরণ করে ‘মুক্তিপণ’ আদায়ের ফন্দি আঁটে তিন জন। নিহতের বাবা মহম্মদ আলমগির বলেন, “রাজাকে যারা খুন করেছে, তারা দুষ্কৃতী। আমার বড় ছেলে জুয়া খেলে না।” মাছ ধরার নেশা ছিল রাজার। পুলিশ সূত্রের দাবি, সেই ‘টোপ’ দিয়েই তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে ছেলেটিকে। |